অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাবির হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি নাবিলা
- প্রকাশিত: ০৫:৪৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / 93
১৫ আগস্টের পরে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী গা ঢাকা দিলেও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমিন জাহান নাবিলা।
নাজমিন জাহান নাবিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার পর সহপাঠীরা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেও তিনি তা করেননি। পরবর্তীতে ৫ আগষ্টের পর ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হলে সহপাঠীরা তার উপস্থিতিতে তার সাথে ক্লাস করতে অসম্মতি জানায়। তবে অধ্যাপক শাহনেওয়াজ ও অধ্যাপক রনি তাকে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ১৫ জুলাইয়ের পর তিনি পানধোয়া এলাকায় নিজের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান। ১৭ জুলাই তার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, তিনি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে অবস্থান করছেন এবং পুলিশ তাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। কিন্তু সেসময় সেখানে উপস্থিত কোনো শিক্ষার্থী তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি তখনো পানধোয়াতেই অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি ক্ষমা চান এবং ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেলের কাছ থেকে তার পলায়নকালীন বাসা ভাড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর, নাজমিন জাহান নাবিলা ইসলামনগরের একটি বাসায় অবস্থান করেন। সেখানে ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতার যাতায়াত ছিল বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়াও শেখ হাসিনা হলে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ওয়াইফাই সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও হলের ক্যান্টিন মালিকের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
এবিষয়ে প্রত্নতত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুল কবীর ভূঁঞা বলেন, নাজমিন জাহান নাবিলা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল-এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে ছিল না। তাই আমরা তাকে পরীক্ষা হলে বসার সুযোগ করে দেই। নাবিলার সহপাঠীরা তার সঙ্গে ক্লাস করতে না চাইলে আমি এবং অন্যান্য শিক্ষকগণ তাদের সঙ্গে কথা বলি এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে তাকে পুনরায় ক্লাস করার সুযোগ করে দেই। যদি তার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়, তাহলে বিভাগ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।