আলবেনিয়ার ডিজিওয়েবের সিনিয়র সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডুয়েটের মেহেদী হাসান শুভ
- প্রকাশিত: ০৩:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
- / 71
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুরের ২০১৯-২০ সেশনের সিএসই ডিপার্টমেন্টের মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাসান শুভ আলবেনিয়ার ডিজিওয়েবের সিনিয়র সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। মেহেদী হাসানের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনিতে। তিনি বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২০১৪-১৫ সেশনের কম্পিউটার টেকনোলজির ছাত্র ছিলেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর বিএসসি শেষ হয়। মেহেদী হাসান পাবলিকিয়ান টুডে-র প্রতিনিধিকে বলেন- “যখন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেলাম এরপরেই করোনা চলে আসে তখন সিদ্ধান্ত নেই যেন কোন একটি কাজ শিখব সেই চিন্তা থেকে আমি BASIS Institute of Technology & Management (BITM) থেকে ফ্লাটার এর একটা কোর্স করলাম । এরপরে একটা ইসলামিক অ্যাপস ( Search Islam) তৈরি করলাম এবং সেটা গুগল প্লে স্টোরে আপলোড দিলাম। এরপরেই আমার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে ইন্টার্নশীপ হিসেবে চাকরি হয়ে যায়। পাশাপাশি তখন এক বছর কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং করেছি। এরপর আরো অনেকগুলো কোম্পানিতে কাজ করা হয়েছে এবং পাশাপাশি দুইটা গভমেন্ট প্রজেক্টেও কাজ করা হয়েছে। আর লাস্ট যে কোম্পানিতে আমি কাজ করেছি তার ডিটেলস হল- আমি এখানে মূলত রিমোট জব করি। ওরা মূলত LinkedIn পোস্ট করেছিল সেখান থেকে আমি এপ্লাই করেছিলাম। তারপরে ওরা আমাকে একটা Small Task দিলো। ওই Task টা আমি খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করলাম করার পরেই ওদের কাছে খুব ভালো লাগে আমার কাজ। এর পরে ওরা আমাকে কনফার্ম করে যে ওরা আমার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। তারপরে ওরা আমাকে একটা প্রজেক্ট দিলো স্টাডি করার জন্য, আমি যখন দেখলাম ওদের ওই প্রজেক্ট এর যেই কোডগুলো রয়েছে সেগুলো কোন স্ট্রাকচার ফলো করে করা হয় নাই আমি তখন তাদের একটা প্রপোজাল দেয়। আমি এই কাজটা কে সুন্দর করে স্ট্রাকচারওয়াইজ করে দেব। সেই কথা মতো আমি কাজ শুরু করি এবং এবারও তারা আমার কাজটাকে খুব সুন্দর ভাবেই পছন্দ করে এবং আমাকে সিনিয়ার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে হায়ার করে। মোটামুটি লাস্ট ৮ মাস ধরে এই কোম্পানিতে আমি রয়েছি।
পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি থাকা অবস্থায় যেহেতু আমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল একটি এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে সে ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করেছি আমার কাজগুলোর সাথে ইন্ডাস্ট্রি আর রিসার্চ এটাকে কম্বাইন করে কাজ করার জন্য। সেই সুবাদে আমার ক্যাম্পাসে অনেক স্যারদের সাথে খুব সুন্দর সম্পর্ক হয়ে ওঠে এবং তাদের থেকে অনেক কাজ শিখতে পারি। যার ফলাফল হিসেবে আমার মোট ছয়টি পেপার বিভিন্ন জার্নালে পাবলিশ হয়েছে তার মধ্যে Q1 এর রয়েছে দুইটি।”
এছাড়াও মেহেদী হাসান ডুয়েট কম্পিউটার সোসাইটির এক্সিকিউটিভ কমিটির ২০২৩-২৪ সেশনের সহ-সভাপতিও ছিলেন।
হাসিবুর রশীদ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, এলপিআই