০৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমগীরের কোচিং-এ ভর্তি হলেই মিলত সরকারি চাকরি!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৫:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / 40

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার সরকারি কর্ম-কমিশনের সহকারী পরিচালক এসএম আলমগীর কবির। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গয়ড়া সরদারপাড়া গ্রামে। তার রয়েছে ঢাকার মিরপুরে চাকরির কোচিং সেন্টার। আর সেখানে ভর্তি হলেই মিলত সরকারি চাকরি।

তার কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে এলাকার অন্তত ৯০ জন তরুণ ও যুবক বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন

গত রোব ও সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলমগীরের বাবা আবুল কাশেম আগে দিনমজুর হিসেবে মানুষের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। নওগাঁর বদলগাছীর কোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন তিনি।

পরবর্তীতে মানুষের বাড়িতে জায়গীর থেকে কুষ্টিয়ার একটি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এক যুগ আগে পিএসসিতে যোগদান করেন আলমগীর। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে তিনি পিএসসির সহকারী পরিচালক হন।

কোলাহাট বাজারের মিম ভ্যারাইটি স্টোর নামের একটি প্রসাধনী দোকানের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, চাকরির লাইনঘাটের জন্য এলাকায় আলমগীরের খুব নামডাক আছিল। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকার অনেক বেকার ছেলে-পেলে সরকারি অফিসে চাকরি পাইছে। নিজের এক ভাই সিক্স-সেভেন পাশ, তাক (তাকে) মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভারের চাকরি পাইয়ে দিছে। আর এক বোন জজকোর্টে চাকরি পাইছে। আলমগীরের সঙ্গে লাইনঘাট করে শুধু কোলা ইউনিয়নে গত চার-পাঁচ বছরে ৮০-৯০ জন চাকরি পাইছে। এখন বুঝতে পারছি সেই লাইনঘাট কিভাবে করত।

আলমগীরের প্রতিবেশী এসএম আব্দুর রউফ বলেন, আলমগীর আমাদের গ্রামেই অন্তত ৪০-৫০ জন ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিছে। এখন সেগুলা সঠিক পথে না অন্যায় পথে চাকরি দিছে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। যারা চাকরি পাইছে তারা টাকা-পয়সা দিয়ে দুর্নীতি করে চাকরি পাইলে তো আর এখন স্বীকার করবে না। এখন হয়তো সরকারিভাবে তদন্ত করলে কে কে অন্যায়ভাবে চাকরি পাইছে তা বের হয়ে আসতে পারে।

শেয়ার করুন

আলমগীরের কোচিং-এ ভর্তি হলেই মিলত সরকারি চাকরি!

প্রকাশিত: ০৫:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার সরকারি কর্ম-কমিশনের সহকারী পরিচালক এসএম আলমগীর কবির। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গয়ড়া সরদারপাড়া গ্রামে। তার রয়েছে ঢাকার মিরপুরে চাকরির কোচিং সেন্টার। আর সেখানে ভর্তি হলেই মিলত সরকারি চাকরি।

তার কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে এলাকার অন্তত ৯০ জন তরুণ ও যুবক বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন

গত রোব ও সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলমগীরের বাবা আবুল কাশেম আগে দিনমজুর হিসেবে মানুষের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। নওগাঁর বদলগাছীর কোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন তিনি।

পরবর্তীতে মানুষের বাড়িতে জায়গীর থেকে কুষ্টিয়ার একটি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এক যুগ আগে পিএসসিতে যোগদান করেন আলমগীর। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে তিনি পিএসসির সহকারী পরিচালক হন।

কোলাহাট বাজারের মিম ভ্যারাইটি স্টোর নামের একটি প্রসাধনী দোকানের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, চাকরির লাইনঘাটের জন্য এলাকায় আলমগীরের খুব নামডাক আছিল। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকার অনেক বেকার ছেলে-পেলে সরকারি অফিসে চাকরি পাইছে। নিজের এক ভাই সিক্স-সেভেন পাশ, তাক (তাকে) মন্ত্রণালয়ে ড্রাইভারের চাকরি পাইয়ে দিছে। আর এক বোন জজকোর্টে চাকরি পাইছে। আলমগীরের সঙ্গে লাইনঘাট করে শুধু কোলা ইউনিয়নে গত চার-পাঁচ বছরে ৮০-৯০ জন চাকরি পাইছে। এখন বুঝতে পারছি সেই লাইনঘাট কিভাবে করত।

আলমগীরের প্রতিবেশী এসএম আব্দুর রউফ বলেন, আলমগীর আমাদের গ্রামেই অন্তত ৪০-৫০ জন ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিছে। এখন সেগুলা সঠিক পথে না অন্যায় পথে চাকরি দিছে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। যারা চাকরি পাইছে তারা টাকা-পয়সা দিয়ে দুর্নীতি করে চাকরি পাইলে তো আর এখন স্বীকার করবে না। এখন হয়তো সরকারিভাবে তদন্ত করলে কে কে অন্যায়ভাবে চাকরি পাইছে তা বের হয়ে আসতে পারে।