০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবির সেই বিতর্কিত সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল চাকরিচ্যুত

নূর ই আলম, ইবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৭:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 283

ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠা নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে তাকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে চাকরি থেকে অপসারণ (Dismissal from Service) করা হয়।

উল্লেখ্য, হাফিজুল ইসলাম তার বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সমকামীতা, মানসিক নির্যাতন, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, নারী শিক্ষার্থীদের “বাজারের মেয়ে” বলে অপমান করা, পছন্দের শিক্ষার্থীকে বেশি নম্বর এবং বাকিদের কম নম্বর দেওয়া, এমনকি সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানো মতো ভয়ংকর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এইসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা টানা দুই থেকে তিন দফায় আন্দোলনে নামে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার অপসারণের জোর দাবি জানায়।

এর আগে, একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাতে সন্তুষ্টি না জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন

ইবির সেই বিতর্কিত সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল চাকরিচ্যুত

প্রকাশিত: ০৭:১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠা নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে তাকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে চাকরি থেকে অপসারণ (Dismissal from Service) করা হয়।

উল্লেখ্য, হাফিজুল ইসলাম তার বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সমকামীতা, মানসিক নির্যাতন, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, নারী শিক্ষার্থীদের “বাজারের মেয়ে” বলে অপমান করা, পছন্দের শিক্ষার্থীকে বেশি নম্বর এবং বাকিদের কম নম্বর দেওয়া, এমনকি সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানো মতো ভয়ংকর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এইসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা টানা দুই থেকে তিন দফায় আন্দোলনে নামে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার অপসারণের জোর দাবি জানায়।

এর আগে, একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাতে সন্তুষ্টি না জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষার্থীরা।