০৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবি উপাচার্যের উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা, প্রায় অর্ধশত দাবি উত্থাপন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৯:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 28

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লা। সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৪ টি সংস্কার প্রস্তাবনায় প্রায় অর্ধশত দাবি উত্থাপন করা হয়।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের অডিটোরিয়ামে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকরা অধ্যাপক ড আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো: ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ, গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি নিরসন, সেশনজট থেকে শিক্ষার্থী মুক্তি প্রদান, শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত নতুন বিভাগ না খোলা, জিমনেসিয়াম সংস্কার, ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেইল প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া নতুনভাবে চালু করা, বহিরাগত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অভিন্ন পরিচয়পত্র প্রদান, অনলাইন পেমেন্ট সক্রিয় করা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান সহ আরো প্রায় অর্ধশত দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

সাবেক প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, সুদীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে কথা বলতে পারিনি। এখন উন্মুক্ত জায়গায় আলোচনা করতে পেরে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। আমি প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্ববোধ করি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের কারণে একটা সময় একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির ছিল এবং সেশনজটের আশঙ্কা নবনিযুক্ত উপাচার্যের নেতৃত্বে কাটিয়ে ওঠতে পারবে বলে আশাবাদী।

মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি এবং আমি এখানকার উপাচার্য হয়েছি। আমার কাজ হবে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা। সেজন্য সবাইকে একসাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা যেসব সংস্কারের দাবি তুলে ধরেছেন তাদের প্রত্যেকটা দাবি যৌক্তিক। এখানে উপস্থিত কোনো ডিন বা শিক্ষক তাদের দাবিকে অস্বীকার করতে পারবে না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা সেক্টর সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে আমার সংস্কারের কাজ আরও সহজ হয়ে উঠেছে এবং আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে না কাজ নিয়ে।

এছাড়াও বলেন, আমি দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছি। এখানে আমি দায়িত্ব নিয়েছি তোমাদের জন্য কাজ করার জন্য। আমি তোমাদের আশাহত করবো না। আমি তোমাদেরই ভাইস চ্যান্সেলর। আমি প্রতিদিন তোমাদের মুখ দেখতে চাই। তোমাদের সাথে কথা বলে এই সংস্কার করতে চাই।

ইবি প্রতিনিধি :
নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

ইবি উপাচার্যের উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা, প্রায় অর্ধশত দাবি উত্থাপন

প্রকাশিত: ০৯:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লা। সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৪ টি সংস্কার প্রস্তাবনায় প্রায় অর্ধশত দাবি উত্থাপন করা হয়।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের অডিটোরিয়ামে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকরা অধ্যাপক ড আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো: ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ, গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি নিরসন, সেশনজট থেকে শিক্ষার্থী মুক্তি প্রদান, শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত নতুন বিভাগ না খোলা, জিমনেসিয়াম সংস্কার, ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেইল প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া নতুনভাবে চালু করা, বহিরাগত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অভিন্ন পরিচয়পত্র প্রদান, অনলাইন পেমেন্ট সক্রিয় করা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান সহ আরো প্রায় অর্ধশত দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

সাবেক প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, সুদীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে কথা বলতে পারিনি। এখন উন্মুক্ত জায়গায় আলোচনা করতে পেরে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। আমি প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্ববোধ করি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের কারণে একটা সময় একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির ছিল এবং সেশনজটের আশঙ্কা নবনিযুক্ত উপাচার্যের নেতৃত্বে কাটিয়ে ওঠতে পারবে বলে আশাবাদী।

মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি এবং আমি এখানকার উপাচার্য হয়েছি। আমার কাজ হবে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা। সেজন্য সবাইকে একসাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা যেসব সংস্কারের দাবি তুলে ধরেছেন তাদের প্রত্যেকটা দাবি যৌক্তিক। এখানে উপস্থিত কোনো ডিন বা শিক্ষক তাদের দাবিকে অস্বীকার করতে পারবে না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা সেক্টর সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে আমার সংস্কারের কাজ আরও সহজ হয়ে উঠেছে এবং আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে না কাজ নিয়ে।

এছাড়াও বলেন, আমি দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছি। এখানে আমি দায়িত্ব নিয়েছি তোমাদের জন্য কাজ করার জন্য। আমি তোমাদের আশাহত করবো না। আমি তোমাদেরই ভাইস চ্যান্সেলর। আমি প্রতিদিন তোমাদের মুখ দেখতে চাই। তোমাদের সাথে কথা বলে এই সংস্কার করতে চাই।

ইবি প্রতিনিধি :
নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়