০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে খাসির দাওয়াত দিয়ে লাপাত্তা জবি প্রশাসন, ছাত্রলীগের আপ্যায়নে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা 

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৩:২০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
  • / 55

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অধ্যয়নরত  শিক্ষার্থীদের যারা ঈদে ঢাকায় অবস্থান করবে, তাঁদেরকে পাঁচটি খাসি দিয়ে পোলাও, কোর্মার আপ্যায়ন করার ঘোষণা দিয়েও এইদিন আপ্যায়নের কোন আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি প্রশাসন যে আপ্যায়নের আয়োজন করছেন না সেটাও জানানো হয়নি। যার কারণে ঈদের দিন অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও আপ্যায়ন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরে প্রশাসনের দাওয়াতে আশা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আপ্যায়নে অংশ নেন।

তবে ছাত্রলীগের আপ্যায়নে অংশ নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দাওয়াত দিয়ে আপ্যায়নের কোন প্রকার আয়োজন না করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা বলেছেন, প্রশাসনের দাওয়াতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছি। তারা আমাদের জন্য ৫ টি খাসি কুরবানী দিয়ে আপ্যায়ন করবে বলে ডেকে এনে কিছুই আয়োজন করেনি। এখন প্রশাসনের দাওয়াতে আমরা যারা এসেছি তাদের অধিকাংশ ই এখানে কিছু না পেয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে গিয়েছি। দুই দাওয়াতের মানুষ একই জায়গায় তাদের উপরেও চাপ পড়েছে।

তবে ঈদের দিন প্রশাসন আপ্যায়নের আয়োজন না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ছয়টি খাসি কুরবানী দেন। এ উপলক্ষে বিগত তিনদিন তারা সকল প্রকার কেনাকাটা সম্পন্ন করেন। খাসির পাশাপাশি ডিম, পোলাও, কোর্মাসহ কোমল পানীয় পরিবেশন করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা সকলকেই ছাত্রলীগের আয়োজনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে।

jnupublician today5publician todayপাবলিকিয়ানpublician todayটুডেpublician today|publician todayবাংলাদেশpublician todayওpublician todayবিশ্বেরpublician todayসর্বশেষpublician todayসংবাদ

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জানিয়েছেন তারা সব মিলিয়ে আমরা ঈদের দিন দুপুরে ৩০০-৩৫০ জনের জন্য খাবারের আয়োজন করবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা আপ্যায়নের আয়োজন না করায় এসব শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের আপ্যায়নে যোগ দেন। তাদের এত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বন্টন করতে হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব মোল্লা বলেন, বিশেষ কারণে এবার ঢাকায় ঈদ করা হচ্ছিল। ঈদে মেসের খালা বাসায় চলে গিয়েছে। রান্না করারও কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা শুনে খাসি খেতে এসে দেখি খাসি তো দূরের কথা সাদা-ভাতেরও আয়োজন করা হয়নি। ঈদের দিন তাই আশেপাশে দোকানও খোলা নেই যে কিছু খাবো। দাওয়াত খেতে এসে আমার জীবনেও এইভাবে অপমানিত হইনি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৬ টি খাসি দিয়ে আপ্যায়নের আয়োজন করি। যারাই এসেছে আমরা সবাইকে আপ্যায়ন করিয়েছি। কে কোন দাওয়াতে এসেছে এটা মূখ্য বিষয় না। যে ই এসেছে আমরা আমাদের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে আপ্যায়ন করেছি। 

সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যারাই আমাদের আয়োজনে এসেছে সবাই ই অনেক খুশি হয়েছে। অনেকেরই বাসায় রান্না করার কেউ নেই। সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করতে পেরে আমরাও খুশি। আগামীতেও এইরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাকরি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ছাত্রলীগের ব্যানারে আয়োজিত আপ্যায়ন কর্মসূচিকে নিজেদের বলে দাবি করেন। আপ্যায়নের সময় শুধু ছাত্রলীগের কর্মীদের খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় এবং প্রশাসনের বাহিরে প্রথম থেকেই ছাত্রলীগ আলাদা আয়োজন করার ঘোষণা দেয়।

শেয়ার করুন

ঈদে খাসির দাওয়াত দিয়ে লাপাত্তা জবি প্রশাসন, ছাত্রলীগের আপ্যায়নে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা 

প্রকাশিত: ০৩:২০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অধ্যয়নরত  শিক্ষার্থীদের যারা ঈদে ঢাকায় অবস্থান করবে, তাঁদেরকে পাঁচটি খাসি দিয়ে পোলাও, কোর্মার আপ্যায়ন করার ঘোষণা দিয়েও এইদিন আপ্যায়নের কোন আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি প্রশাসন যে আপ্যায়নের আয়োজন করছেন না সেটাও জানানো হয়নি। যার কারণে ঈদের দিন অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও আপ্যায়ন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরে প্রশাসনের দাওয়াতে আশা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আপ্যায়নে অংশ নেন।

তবে ছাত্রলীগের আপ্যায়নে অংশ নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দাওয়াত দিয়ে আপ্যায়নের কোন প্রকার আয়োজন না করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা বলেছেন, প্রশাসনের দাওয়াতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছি। তারা আমাদের জন্য ৫ টি খাসি কুরবানী দিয়ে আপ্যায়ন করবে বলে ডেকে এনে কিছুই আয়োজন করেনি। এখন প্রশাসনের দাওয়াতে আমরা যারা এসেছি তাদের অধিকাংশ ই এখানে কিছু না পেয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে গিয়েছি। দুই দাওয়াতের মানুষ একই জায়গায় তাদের উপরেও চাপ পড়েছে।

তবে ঈদের দিন প্রশাসন আপ্যায়নের আয়োজন না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ছয়টি খাসি কুরবানী দেন। এ উপলক্ষে বিগত তিনদিন তারা সকল প্রকার কেনাকাটা সম্পন্ন করেন। খাসির পাশাপাশি ডিম, পোলাও, কোর্মাসহ কোমল পানীয় পরিবেশন করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা সকলকেই ছাত্রলীগের আয়োজনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে।

jnupublician today5publician todayপাবলিকিয়ানpublician todayটুডেpublician today|publician todayবাংলাদেশpublician todayওpublician todayবিশ্বেরpublician todayসর্বশেষpublician todayসংবাদ

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জানিয়েছেন তারা সব মিলিয়ে আমরা ঈদের দিন দুপুরে ৩০০-৩৫০ জনের জন্য খাবারের আয়োজন করবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা আপ্যায়নের আয়োজন না করায় এসব শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের আপ্যায়নে যোগ দেন। তাদের এত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বন্টন করতে হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব মোল্লা বলেন, বিশেষ কারণে এবার ঢাকায় ঈদ করা হচ্ছিল। ঈদে মেসের খালা বাসায় চলে গিয়েছে। রান্না করারও কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা শুনে খাসি খেতে এসে দেখি খাসি তো দূরের কথা সাদা-ভাতেরও আয়োজন করা হয়নি। ঈদের দিন তাই আশেপাশে দোকানও খোলা নেই যে কিছু খাবো। দাওয়াত খেতে এসে আমার জীবনেও এইভাবে অপমানিত হইনি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৬ টি খাসি দিয়ে আপ্যায়নের আয়োজন করি। যারাই এসেছে আমরা সবাইকে আপ্যায়ন করিয়েছি। কে কোন দাওয়াতে এসেছে এটা মূখ্য বিষয় না। যে ই এসেছে আমরা আমাদের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে আপ্যায়ন করেছি। 

সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যারাই আমাদের আয়োজনে এসেছে সবাই ই অনেক খুশি হয়েছে। অনেকেরই বাসায় রান্না করার কেউ নেই। সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করতে পেরে আমরাও খুশি। আগামীতেও এইরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাকরি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ছাত্রলীগের ব্যানারে আয়োজিত আপ্যায়ন কর্মসূচিকে নিজেদের বলে দাবি করেন। আপ্যায়নের সময় শুধু ছাত্রলীগের কর্মীদের খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় এবং প্রশাসনের বাহিরে প্রথম থেকেই ছাত্রলীগ আলাদা আয়োজন করার ঘোষণা দেয়।