১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ উপলক্ষ্যে দুই দিনে সকল ধর্মের সাড়ে সাতশো শিক্ষার্থীর জন্য ভোজের আয়োজন চবি শিবিরের।

নাফিউল ইকবাল, চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ১২:২১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • / 122

চবি শিবির

চবিতে ইদ উপলক্ষ্যে দুই দিন সকল ধর্মের সাড়ে সাতশো শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন চবি শিবিরের।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মুসলিম ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন ও এর পরদিন দুই দিনব্যপী ভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি, বিশেষ করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যাতে উৎসবের দিনে একাকীত্ব অনুভব না করেন, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া হবে এবং পারস্পরিক সম্মান ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি জোরদার হবে।

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন কুমার সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ে ইদে অথবা পূজার ছুটিতে বাসায় যাওয়া হয় নাই। বিভিন্ন কারণে কোনো সময় আর্থিক অবস্থার কারণে,কখনো পরীক্ষা থাকায় ,কখনো আরো পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসে থাকা হয়েছে । এ সময়টাতে খাবার বিষয়টাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। ডাইনিং ও ক্যাম্পাসের খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যায় । বিষয়টা খুবই ভালো লাগছে ছাত্রশিবিরের এই দুই দিনের যে আয়োজন করেছে তা কৃতজ্ঞতাবোধ করার মতো বিষয়। এত সুন্দর একটা আয়োজনের তাদের অনেক ধন্যবাদ ।

শিবির নেতা আবরার ফারাবি বলেন, আবাসিক থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হলেও অনাবাসিক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভাইরা বঞ্চিত হবে যা আমরা মানতেই পারছিলাম না। সেই অভিব্যক্তি থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা প্রথম দিন ১৫০ জনের আয়োজন করেছিলাম এবং এর পরদিন সকল ধর্মের আয়োজনে প্রায় ৬০০ জনকে পেয়েছিলাম। মোট ৪ হলকে আমরা ভ্যনু হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। শিক্ষাঙ্গনে আমরা সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। তাই ঈদের দিন মুসলিমদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও যেন আমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন, সেটাই আমাদের চাওয়া।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মুসলিম ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন ও এর পরদিন দুই দিনব্যপী ভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি, বিশেষ করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যাতে উৎসবের দিনে একাকীত্ব অনুভব না করেন, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া হবে এবং পারস্পরিক সম্মান ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি জোরদার হবে।

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন কুমার সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ে ইদে অথবা পূজার ছুটিতে বাসায় যাওয়া হয় নাই। বিভিন্ন কারণে কোনো সময় আর্থিক অবস্থার কারণে,কখনো পরীক্ষা থাকায় ,কখনো আরো পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসে থাকা হয়েছে । এ সময়টাতে খাবার বিষয়টাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। ডাইনিং ও ক্যাম্পাসের খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যায় । বিষয়টা খুবই ভালো লাগছে ছাত্রশিবিরের এই দুই দিনের যে আয়োজন করেছে তা কৃতজ্ঞতাবোধ করার মতো বিষয়। এত সুন্দর একটা আয়োজনের তাদের অনেক ধন্যবাদ ।

শিবির নেতা আবরার ফারাবি বলেন, আবাসিক থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হলেও অনাবাসিক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভাইরা বঞ্চিত হবে যা আমরা মানতেই পারছিলাম না। সেই অভিব্যক্তি থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা প্রথম দিন ১৫০ জনের আয়োজন করেছিলাম এবং এর পরদিন সকল ধর্মের আয়োজনে প্রায় ৬০০ জনকে পেয়েছিলাম। মোট ৪ হলকে আমরা ভ্যনু হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। শিক্ষাঙ্গনে আমরা সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। তাই ঈদের দিন মুসলিমদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও যেন আমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন, সেটাই আমাদের চাওয়া।

শেয়ার করুন

ঈদ উপলক্ষ্যে দুই দিনে সকল ধর্মের সাড়ে সাতশো শিক্ষার্থীর জন্য ভোজের আয়োজন চবি শিবিরের।

প্রকাশিত: ১২:২১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

চবিতে ইদ উপলক্ষ্যে দুই দিন সকল ধর্মের সাড়ে সাতশো শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন চবি শিবিরের।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মুসলিম ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন ও এর পরদিন দুই দিনব্যপী ভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি, বিশেষ করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যাতে উৎসবের দিনে একাকীত্ব অনুভব না করেন, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া হবে এবং পারস্পরিক সম্মান ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি জোরদার হবে।

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন কুমার সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ে ইদে অথবা পূজার ছুটিতে বাসায় যাওয়া হয় নাই। বিভিন্ন কারণে কোনো সময় আর্থিক অবস্থার কারণে,কখনো পরীক্ষা থাকায় ,কখনো আরো পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসে থাকা হয়েছে । এ সময়টাতে খাবার বিষয়টাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। ডাইনিং ও ক্যাম্পাসের খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যায় । বিষয়টা খুবই ভালো লাগছে ছাত্রশিবিরের এই দুই দিনের যে আয়োজন করেছে তা কৃতজ্ঞতাবোধ করার মতো বিষয়। এত সুন্দর একটা আয়োজনের তাদের অনেক ধন্যবাদ ।

শিবির নেতা আবরার ফারাবি বলেন, আবাসিক থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হলেও অনাবাসিক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভাইরা বঞ্চিত হবে যা আমরা মানতেই পারছিলাম না। সেই অভিব্যক্তি থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা প্রথম দিন ১৫০ জনের আয়োজন করেছিলাম এবং এর পরদিন সকল ধর্মের আয়োজনে প্রায় ৬০০ জনকে পেয়েছিলাম। মোট ৪ হলকে আমরা ভ্যনু হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। শিক্ষাঙ্গনে আমরা সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। তাই ঈদের দিন মুসলিমদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও যেন আমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন, সেটাই আমাদের চাওয়া।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মুসলিম ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন ও এর পরদিন দুই দিনব্যপী ভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি ফিরতে পারেননি, বিশেষ করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যাতে উৎসবের দিনে একাকীত্ব অনুভব না করেন, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া হবে এবং পারস্পরিক সম্মান ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি জোরদার হবে।

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন কুমার সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ে ইদে অথবা পূজার ছুটিতে বাসায় যাওয়া হয় নাই। বিভিন্ন কারণে কোনো সময় আর্থিক অবস্থার কারণে,কখনো পরীক্ষা থাকায় ,কখনো আরো পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসে থাকা হয়েছে । এ সময়টাতে খাবার বিষয়টাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। ডাইনিং ও ক্যাম্পাসের খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে যায় । বিষয়টা খুবই ভালো লাগছে ছাত্রশিবিরের এই দুই দিনের যে আয়োজন করেছে তা কৃতজ্ঞতাবোধ করার মতো বিষয়। এত সুন্দর একটা আয়োজনের তাদের অনেক ধন্যবাদ ।

শিবির নেতা আবরার ফারাবি বলেন, আবাসিক থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হলেও অনাবাসিক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভাইরা বঞ্চিত হবে যা আমরা মানতেই পারছিলাম না। সেই অভিব্যক্তি থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা প্রথম দিন ১৫০ জনের আয়োজন করেছিলাম এবং এর পরদিন সকল ধর্মের আয়োজনে প্রায় ৬০০ জনকে পেয়েছিলাম। মোট ৪ হলকে আমরা ভ্যনু হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। শিক্ষাঙ্গনে আমরা সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। তাই ঈদের দিন মুসলিমদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও যেন আমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন, সেটাই আমাদের চাওয়া।