একজন নারী, মা ও সফল উদ্যোক্তা- পাকিজা ফিরোজ

নারী যখন সফল হয় তখন তার শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা গুণগ্রাহীর অভাব হয় না। কিন্তু সফল হওয়ার জন্য যে পথ পাড়ি দিতে হয় সে পথে কাউকে সাথে পাওয়া যায় না। কয়েকজন ব্যতিক্রম বাদে বেশিরভাগ নারীরা সমাজ, পরিবার ও চারপাশের বাধা ডিঙিয়ে তবে পথে চলেন। পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরও বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে। তেমনি একজন
চট্টগ্রামের অপরাজিতা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন পাকিজা ফিরোজ।
আমার অনলাইন বিজনেস শুরু হয় ২০১৯ এ। আমার পেইজের নাম ছিল Valentine Buzz..
ভ্যালেন্টাইন গিফট আইটেম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভাল সাড়া ও পাই। এরপর যখন পহেলা বৈশাখের অর্ডার নেয়া শুরু করি তখন হঠাৎ একদিন সকালে দেখি আমার ফেসবুক আইডি কেউ রিপোর্ট করেছে এবং আইডির সাথে পেইজ সহ গায়েব।
পাকিজা ফিরোজ পাবলিকিয়ান টুডে-কে বলেন, পেইজ গায়েব হয়ে যাওয়ার পর
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, দুই তিনদিন তো ঘোরের মাঝে কেটে গেল। এরপর আবার নতুন আইডি, নতুন পেইজ। নাম দিলাম “শাড়ি চুড়ি”। নতুনভাবে যাত্রা শুরু। এরপর পড়ে গেলাম পেন্ডামিক সিচুয়েশনে। চারিদিকে মৃত্যুর গন্ধ আর আতঙ্ক। পেইজটাকে ভুলেই গেলাম।
২০২০-২০২১ একদম বন্ধ সব কিছু।
২০২২ এর জানুয়ারিতে আবার ঘুরে দাঁড়ালাম,
পেইজের নাম দিলাম Pakija’s Vanity…
পেইজকে প্রফেশনালি সাজালাম, কাভার ফটো, পেইজ লগো, ভিজিটিং কার্ড, ক্যাশ মেমো সব কিছুই মন মতন করে গুছালাম।
খুঁজে খুঁজে ইউনিক প্রোডাক্ট দিয়ে পেইজকে সবার কাছে নতুন ভাবে তুলে ধরলাম।আলহামদুলিল্লাহ এরপর আর পিছনে ফিরিনি, থামিনি, ভয় পাইনি।
আমার পেইজের ইউনিক প্রোডাক্টসের মধ্যে অন্যতম হল ড্রিমক্যাচার। সবচেয়ে বেশি সেল করেছি, আর প্রশংসা ও পেয়েছি অনেক।
তবে পেইজের মেম্বারদের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে আর ও অনেক প্রোডাক্ট সংযোজন করেছি। তার মধ্যে স্টেশনারি, বেবি হেয়ার এক্সেসরিজ, লেডিস হেয়ার এক্সেসরিজ তো আছেই।
তবে সবচেয়ে বেশি কালেকশন থাকে পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান ও দেশীয় থ্রিপিস এর।
ইনশাআল্লাহ আমার শ্রম ও সততা একদিন কাস্টমাইজড কিছু করার সুযোগ করে দিবে।
কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করার তৌফিক মহান আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আমাকে দিবেন, ইনশাআল্লাহ

মোহাম্মদ সায়েম (কক্সবাজার)