এবার প্রকাশ্যে আসলেন ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি-সম্পাদক
- প্রকাশিত: ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / 33
ইবি প্রতিনিধি:
২৮ শে অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসলেন ইবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সংগঠনটির সভাপতি আবু মুসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক মুদুল হাসান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
২৮ অক্টোবর (সোমবার) বিকাল ৩টায় ওয়ালিউল্লাহ-আল মুকাদ্দাস মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে আলোচনা সভার বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মু. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আলী আজম মো. আবু বকর। সভায় ইবি ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী আজম মো. আবু বকর বলেন, আওয়ামীলীগের ইতিহাস বর্বরতার ইতিহাস। পতিত সৈরাচারকে কোনো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতে দেয়া যাবেনা, আগামীতে যদি আবারো এরা ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রকাশ্যে খুন ও গুমের রাজনীতিতে মেতে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এ ব্যাপারে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। পলাতক সৈরাচারের দোসরেরা এ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একের পর এক অঘটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম আবু মুসা বলেন, শহীদেরা আমাদের প্রেরণা। তাদের জীবনাচরণ আমাদের দেশ ও ইসলামের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সম্মুখে রেখে আগামী দিনের সকল বৈষম্য দূরিকরণের শপথ নিতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মতো পৈশাচিক কায়দার আর কোন বর্বর সংগঠন যেন ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে তার জন্য সজাগ থাকতে হবে।
তিনি ২৮ শে অক্টোবরে যারা আওয়ামী বর্বরতার শিকার হয়ে ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করেন ও মুনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপনী ঘোষণা করেন।
নূর ই আলম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।