০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দুধর্মকে নিয়ে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। ১৪ এপ্রিল বিকেলে তার শেয়ার করা একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে ফেসবুকে সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে থাকেন। সর্বশেষ একটি পোস্টে তিনি অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় হিন্দুধর্মকে উপস্থাপন করেন, যা সনাতন শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।

অভিযোগকারীরা দাবি করেন, অভিযুক্তকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

তদন্তে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল “M A Hussain – এম এ হোসাইন” নামে একটি ফেসবুক পেইজে জ্বলন্ত আগুনে জীবন্ত ছাগল পোড়ানোর একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে হিন্দুধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করা হয়। এই পোস্টটি আব্দুর রহমান তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে আপত্তিকর ভাষায় ক্যাপশন লেখেন।

পরে সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি ক্যাপশনটি সম্পাদনা করেন এবং শেষে পুরো পোস্টটি মুছে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। বর্তমানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট করা আছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, “একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জানান, তিনি প্রক্টর অফিসে তার বক্তব্য দিয়েছেন।

আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, “আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না, তাই মন্তব্য করতে পারছি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম জানান, “অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। অভিযুক্ত যেহেতু আইন বিভাগের, তাই বিভাগের প্রধানের মাধ্যমে তাকে ডেকে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ শৃঙ্খলা কমিটিকে দেওয়া হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এখন নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে এবং তার লিখিত জবাবের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেয়ার করুন

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দুধর্মকে নিয়ে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। ১৪ এপ্রিল বিকেলে তার শেয়ার করা একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে ফেসবুকে সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে থাকেন। সর্বশেষ একটি পোস্টে তিনি অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় হিন্দুধর্মকে উপস্থাপন করেন, যা সনাতন শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।

অভিযোগকারীরা দাবি করেন, অভিযুক্তকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

তদন্তে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল “M A Hussain – এম এ হোসাইন” নামে একটি ফেসবুক পেইজে জ্বলন্ত আগুনে জীবন্ত ছাগল পোড়ানোর একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে হিন্দুধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করা হয়। এই পোস্টটি আব্দুর রহমান তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে আপত্তিকর ভাষায় ক্যাপশন লেখেন।

পরে সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি ক্যাপশনটি সম্পাদনা করেন এবং শেষে পুরো পোস্টটি মুছে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। বর্তমানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট করা আছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, “একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জানান, তিনি প্রক্টর অফিসে তার বক্তব্য দিয়েছেন।

আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, “আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না, তাই মন্তব্য করতে পারছি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম জানান, “অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। অভিযুক্ত যেহেতু আইন বিভাগের, তাই বিভাগের প্রধানের মাধ্যমে তাকে ডেকে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ শৃঙ্খলা কমিটিকে দেওয়া হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এখন নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে এবং তার লিখিত জবাবের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”