০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দালনকারীকে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির রুমে মারধরের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০১:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / 24

রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তফা মিয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও তার কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বঙ্গবন্ধু হলে বাবুর কক্ষে। মারধরের পর মোস্তফাকে হল থেকে বিছানাপত্রসহ বের করে দেয়া হয়।

নিরাপত্তার আশঙ্কায় মোস্তফা মিয়া গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে চলে যান এবং বন্ধুদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

মোস্তফা মিয়া বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন খানকে জানান। ফরহাদ মোস্তফাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। শঙ্কিত হয়ে মোস্তফা তার বিভাগের সিনিয়র আরিফ মাহমুদকে বিষয়টি জানান।

পরের দিন মঙ্গলবার আরিফের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে দেখা করেন মোস্তফা। সেখানে আরিফের বন্ধু ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম রেজাও উপস্থিত ছিলেন। শামীম ফরহাদকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘শিবির ধরছি, নিয়ে আসবো নাকি?’ পরে মোস্তফাকে টুকিটাকি চত্বরে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২৩০ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্ষে মোস্তফাকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে তার ফোন চেক করেন ছাত্রলীগ সভাপতি বাবু। কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেখে রেগে গিয়ে তাকে মারধর করেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা নির্যাতনের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের গণরুম থেকে বের করে দেয়া হয়।

মোস্তফা মিয়া যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মারধরের পর তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তিনি গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা চলে আসেন। ছয়জন ছাত্রলীগ নেতা তাকে মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে এ বিষয়ে একাধিকবার মোবাইলে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, তিনজন শিক্ষার্থী মোস্তফার পক্ষে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

কোটা আন্দালনকারীকে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির রুমে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তফা মিয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও তার কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বঙ্গবন্ধু হলে বাবুর কক্ষে। মারধরের পর মোস্তফাকে হল থেকে বিছানাপত্রসহ বের করে দেয়া হয়।

নিরাপত্তার আশঙ্কায় মোস্তফা মিয়া গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে চলে যান এবং বন্ধুদের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

মোস্তফা মিয়া বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন খানকে জানান। ফরহাদ মোস্তফাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। শঙ্কিত হয়ে মোস্তফা তার বিভাগের সিনিয়র আরিফ মাহমুদকে বিষয়টি জানান।

পরের দিন মঙ্গলবার আরিফের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে দেখা করেন মোস্তফা। সেখানে আরিফের বন্ধু ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম রেজাও উপস্থিত ছিলেন। শামীম ফরহাদকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘শিবির ধরছি, নিয়ে আসবো নাকি?’ পরে মোস্তফাকে টুকিটাকি চত্বরে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২৩০ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্ষে মোস্তফাকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে তার ফোন চেক করেন ছাত্রলীগ সভাপতি বাবু। কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেখে রেগে গিয়ে তাকে মারধর করেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা নির্যাতনের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের গণরুম থেকে বের করে দেয়া হয়।

মোস্তফা মিয়া যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মারধরের পর তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তিনি গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা চলে আসেন। ছয়জন ছাত্রলীগ নেতা তাকে মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে এ বিষয়ে একাধিকবার মোবাইলে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, তিনজন শিক্ষার্থী মোস্তফার পক্ষে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।