চবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে প্রতারণার অভিযোগ
- প্রকাশিত: ০২:০০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / 27
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নাট্যকলা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের এক ছাত্রী অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন,
‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে ছাত্রী। আমার সঙ্গে অনেক বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ স্টাডিজের ছাত্র ১৭-১৮ সেশনের এইচ.বি রাফসানের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি তার দুই বছরের সিনিয়র হওয়ায় পরেও সে আমাকে পরিবারের কথা বলে বলে তার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। দীর্ঘদিন আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। তার পরিবার অর্থাৎ তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল। এমনকি তার পরীক্ষা চলাকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা আমাকে বলে তার সঙ্গে সবসময় থাকতে। এজন্য আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হয়। রাত ৩টার সময় পর্যন্তও তাকে মেডিকেলে নিতে হয়।’ ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ‘সে আমার সঙ্গে রিলেশন থাকা অবস্থায় এবং অসুস্থ থাকা অবস্থায় মেডিকেলে অনেক মেয়ে তাকে কল করে। যার কারণে আমি বুঝতে পারি সে এবং তার মা আমার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সে কায়দা করে চট্টগ্রামে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন না করে রাজশাহীতে চলে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ করে। তার অসুস্থাতা দেখে আমি তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দিই। সে সুস্থ হওয়ার পর আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং প্রতারণা করে।’
প্রক্টরিয়াল বড়ির তল্লাশিতে অভিযুক্তের মোবাইলে প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি তার হোয়ার্টএ্যাপে কয়েক ডজন মেয়ের সঙ্গে ছলনার প্রেমের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মেয়েরা এই প্রতারণার শিকার। সব মেয়েকে বলত, আমার বাবা-মা স্টোক করে মারা গেছে। আমি এতিম। এতিমকে কেউ ভালোবাসে না। এমন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েদেরকে তার দিকে আকৃষ্ট করত। এই সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইলে ভুক্তভোগীসহ প্রায় দুই ডজনের বেশি মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগপত্র ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে যাবে। তারপর বাকিটা আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিব। এখন অভিযুক্তকে আপাতত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।