ছোট ছোট অভ্যাসেই বড় পরিবর্তন’—টেকসই ক্যাম্পাসে কুবির শিক্ষার্থীরা
- প্রকাশিত: ০৭:৩১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 130
“Sustainable campus today, better future tomorrow”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা টেকসই ক্যাম্পাস জীবন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। প্রায় দুই মাসব্যাপী এ কার্যক্রম চলে ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মূল ফোকাস ছিল চারটি বিষয়ে—পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস, পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কার্বন নিঃসরণ কমানো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পোস্টার, ভিডিও কনটেন্ট ও অফলাইন কার্যক্রমের ছবি প্রকাশ করে সহপাঠী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সচেতন করার চেষ্টা করেন।
দলের সদস্য বায়েজিদ আহমেদ রিমন বলেন, “এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা শুধু শিখিনি, বরং আমাদের আশপাশের মানুষদেরও সচেতন করার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র—তাই এখান থেকেই যদি টেকসই উন্নয়নের ধারণা ছড়িয়ে যায়, তবে তা পুরো সমাজে প্রভাব ফেলবে। আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে প্রত্যেকের ছোট ছোট উদ্যোগই সবচেয়ে বড় শক্তি। আজকের এই প্রচেষ্টা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটি একটি সবুজ ও স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।”
এ বিষয়ে দলনেতা ওয়াফা আক্তার রিমু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল কুবির সবাইকে টেকসই ক্যাম্পাসের গুরুত্ব বোঝানো। আমরা বিশ্বাস করি, ছোট ছোট অভ্যাসের পরিবর্তনই বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। আজ থেকেই শিক্ষার্থীরা যদি পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে তোলে, তবে ভবিষ্যতে তা একটি সবুজ ও টেকসই সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।”
শিক্ষার্থীদের মতে, এই প্রচারণা শুধু শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতাই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বার্তা। তারা মনে করেন, টেকসই জীবনযাপনের চর্চা একদিকে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে একটি সবুজ ও স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ে তুলবে।
আয়োজকেরা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক পাঠের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। পাশাপাশি বাস্তব জীবনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব উদ্যোগকে ভবিষ্যতে নীতিগতভাবে বাস্তবায়ন করবে, যাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল টেকসই ক্যাম্পাসে পরিণত হয়।
পাবলিকিয়ান টুডে/ এম