জাবিতে আট শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন : কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি
- প্রকাশিত: ০৪:২২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 63
জাবিতে আট শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন : কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি
জাবি প্রতিনিধি
কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে উপাচার্য মাসুদকে অপসারণের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা পৌনে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দুপুর তিনটার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে, স্থান পরিবর্তন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তারা হলেন আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, তৌহিদ সিয়াম, জিয়া উদ্দিন আয়ান, নাজমুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম, কাজী মেহেরাব তূর্য, নাহিদ হাসিন ইমন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন আমাদের মেধাবী প্রজন্ম।
কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে এই দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে দায় নিতে হবে। আমরা মনে করি কুয়েটের ভিসি খুনি হাসিনার মতো তার ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চায়। মাসুদ কোন কোটায় কুয়েটের মতো একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হয় এটি নিয়ে প্রশ্ন জাগছে আমাদের। তিনি কি খুনি হাসিনার মতই শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট না নিয়েই ক্ষমতায় থাকতে চান? এটা চিন্তার বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাগছাস এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে কিন্তু এখন ইন্টেরিমের ঘুম ভাঙ্গছে না। লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসা ইন্টেরিম শিক্ষার্থীদের সাথে গাদ্দারি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জোরালোভাবে বলতে চাই যদি বিকাল ৩ টার মধ্যে কুয়েটের দলকানা ভিসি মাছুদকে না সরালে আমরা সারাদেশে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দিবো এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা সময় ধরে অনশনে আছেন। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাড়িয়ে থাকা এই সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছি। ইতিমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেও কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। একই সাথে শিক্ষার্থী উপদেষ্টারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ চাই। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
…………
যোবায়ের হোসেন জাকির
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৩-০৪-২৫