০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১২:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 128

একাডেমিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শাখার এক নেতা। সোমবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করা হয়।

ছাত্রলীগের আটক ওই নেতা হলেন মাসুদ রানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একমাত্র ছাত্র হল শাখার সহ-সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের আহ্বায়ক। ক্লাস না করেও তাকে পরীক্ষায় বসতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মাসুদের পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক লিটন আকন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগের পরীক্ষার হল রুমের সামনে যান এবং তাকে দেখতে পান তখন ডিউটিতে থাকা শিক্ষক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে তাকে (মাসুদ) বের করে দিতে বললে তিন অস্বীকৃতি জানিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরীর সথে কথা বলতে বলেন। তখন তারা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিভিন্ন নিয়ম দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষেই কথা বলেন।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষার হলরুমে সামনে যান এবং ছাত্রলীগ নেতাকে বের করে দিতে বলেন। কিছু সময় পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান ও সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান যান। সেখানে গিয়ে তারা আজকের মত পরীক্ষা দিক পরবর্তীতে আর দিতে পারবে না এভাবে বোঝাতে থাকে কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজী হয় না। এর কিছু সময় পরে ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম আসেন। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক পর শিক্ষার্থীরা তাদের কোন কথা না শুনে তাকে পরীক্ষার হল থকে বের করে নিয়ে আসতে চাইলে তাখন ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রক্টরের সাথে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে বেরিয়ে আসতে দেয় বিভাগের শিক্ষকেরা।

তারা ছাত্রলীগ নেতাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসলে শিক্ষার্থীরাও তার সাথে চলে আসে। তাকে নিয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দিতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ছত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সমনে এনে একটি অটো বাইকে উঠিয়ে দেয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে অটো বাইকটি থামিয়ে তাকে আটক করে। আটককরে তাকে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সন্ধার আগে মেলান্দাহ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। আটকের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম , ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান ও সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরী। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক লিটন আকন্দ, ছাত্র শিবির নেতা মুরসালিন ইসলাম, ফাহাদ, জাবিপ্রবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ, যুগ্ম আহবায়ক মিয়াদ ইসলাম নিয়ন, সদস্য ইফতে খায়রুল ইফতি, মো. আমান উল্লাহ, হুমায়ুন কবিরসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও জাবিপ্রবি শাখার আহবায়ক স্বাধীন ও যুগ্ম আহবায়ক পলাশে হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করত। তার বিরুদ্ধে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া সহ আন্দলোনের বিপক্ষে গিয়ে সৈরাচারী সরকার ঠেকাতে নানা কর্মসূচি করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলে, তাকে ক্যাম্পাসে আসতেই দেখিনি সে কিভাবে পরীক্ষা দেয়। যেখানে আমাদের ৬০ শতাংশের নিচে উপস্থিতি থাকেল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নেই। অবশ্যই তার বিভাগের শিক্ষকদের হাত আছে।

এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, ‘ তার বিষয়ে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং হয়। বিভিন্ন বিভাগের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে সেই ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা নিতে মতি দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে এ সকল পরীক্ষা তাদের বাতিল হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই ভিত্তিতেই তাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ক্লাসে তার উপস্থিতি একদম কম ছিল সে বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন এবং বলেন, বিশেষ বিবেচনের কিছু শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিতর হারের বিষয়ে বাদবাকি কোর্স টিচাররাই ভালো জানেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাকে পরীক্ষা না দিতে দিলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বাইরে একটি অটোতে উঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে অটো বাইকটি থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে এবং জুতার মালা পরানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশের সোপর্দ করে। এর কিছু সময় পর পরীক্ষা শেষে তার ক্লাসমেটরা তার বিষয়ে সুপারিশ করতে আসে এবং তাকে পুলিশ থেকে ছাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

তাকে আটকের বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন ‘অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা মাসুদ রানা এখন থনাতেই আছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তাকে আগমীকাল কোর্টে চালান দেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

জাবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত: ১২:৪৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

একাডেমিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শাখার এক নেতা। সোমবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করা হয়।

ছাত্রলীগের আটক ওই নেতা হলেন মাসুদ রানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একমাত্র ছাত্র হল শাখার সহ-সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের আহ্বায়ক। ক্লাস না করেও তাকে পরীক্ষায় বসতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মাসুদের পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক লিটন আকন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভাগের পরীক্ষার হল রুমের সামনে যান এবং তাকে দেখতে পান তখন ডিউটিতে থাকা শিক্ষক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে তাকে (মাসুদ) বের করে দিতে বললে তিন অস্বীকৃতি জানিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরীর সথে কথা বলতে বলেন। তখন তারা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিভিন্ন নিয়ম দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষেই কথা বলেন।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষার হলরুমে সামনে যান এবং ছাত্রলীগ নেতাকে বের করে দিতে বলেন। কিছু সময় পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান ও সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান যান। সেখানে গিয়ে তারা আজকের মত পরীক্ষা দিক পরবর্তীতে আর দিতে পারবে না এভাবে বোঝাতে থাকে কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজী হয় না। এর কিছু সময় পরে ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম আসেন। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক পর শিক্ষার্থীরা তাদের কোন কথা না শুনে তাকে পরীক্ষার হল থকে বের করে নিয়ে আসতে চাইলে তাখন ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও প্রক্টরের সাথে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে বেরিয়ে আসতে দেয় বিভাগের শিক্ষকেরা।

তারা ছাত্রলীগ নেতাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসলে শিক্ষার্থীরাও তার সাথে চলে আসে। তাকে নিয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দিতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ছত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সমনে এনে একটি অটো বাইকে উঠিয়ে দেয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে অটো বাইকটি থামিয়ে তাকে আটক করে। আটককরে তাকে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সন্ধার আগে মেলান্দাহ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। আটকের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম , ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান ও সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরী। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক লিটন আকন্দ, ছাত্র শিবির নেতা মুরসালিন ইসলাম, ফাহাদ, জাবিপ্রবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ, যুগ্ম আহবায়ক মিয়াদ ইসলাম নিয়ন, সদস্য ইফতে খায়রুল ইফতি, মো. আমান উল্লাহ, হুমায়ুন কবিরসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও জাবিপ্রবি শাখার আহবায়ক স্বাধীন ও যুগ্ম আহবায়ক পলাশে হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করত। তার বিরুদ্ধে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া সহ আন্দলোনের বিপক্ষে গিয়ে সৈরাচারী সরকার ঠেকাতে নানা কর্মসূচি করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলে, তাকে ক্যাম্পাসে আসতেই দেখিনি সে কিভাবে পরীক্ষা দেয়। যেখানে আমাদের ৬০ শতাংশের নিচে উপস্থিতি থাকেল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নেই। অবশ্যই তার বিভাগের শিক্ষকদের হাত আছে।

এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, ‘ তার বিষয়ে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং হয়। বিভিন্ন বিভাগের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে সেই ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা নিতে মতি দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে এ সকল পরীক্ষা তাদের বাতিল হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই ভিত্তিতেই তাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ক্লাসে তার উপস্থিতি একদম কম ছিল সে বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন এবং বলেন, বিশেষ বিবেচনের কিছু শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিতর হারের বিষয়ে বাদবাকি কোর্স টিচাররাই ভালো জানেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাকে পরীক্ষা না দিতে দিলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় বাইরে একটি অটোতে উঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে অটো বাইকটি থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে এবং জুতার মালা পরানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশের সোপর্দ করে। এর কিছু সময় পর পরীক্ষা শেষে তার ক্লাসমেটরা তার বিষয়ে সুপারিশ করতে আসে এবং তাকে পুলিশ থেকে ছাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

তাকে আটকের বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন ‘অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা মাসুদ রানা এখন থনাতেই আছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তাকে আগমীকাল কোর্টে চালান দেওয়া হবে।’