জাবি ছাত্রদলে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, তারেক রহমান বরাবর আবেদন
- প্রকাশিত: ০৩:০০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / 26
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন আহবায়ক কমিটিতে দুঃসময়ের সক্রিয় নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে তাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ৩৭ জন নেতাকর্মী।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর প্রেরিত এক আবেদনপত্রে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা এই দাবি জানান। আবেদনপত্রে তারা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জুলুম নির্যাতনের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
আবেদনপত্রে নেতাকর্মীরা উল্লেখ করেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ আওয়ামী ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সকল ‘নৈরাজ্য ও প্রহসনের’ বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পক্ষে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-মামলা এবং ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু গত ৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ১৭৭ সদস্যবিশিষ্ট জাবি শাখা ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়। উক্ত কমিটিতে পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের ভ্যানগার্ড খ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের পদায়ন করা হয়েছে। এতে আমাদের মতো জাতীয়তাবাদী আদর্শকে অন্তরে লালন করা ছাত্রদলের কর্মীদের স্থান হয়নি।’
এতে আরো বলা হয়, নবগঠিত কমিটিতে বিবাহিত, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী রয়েছে। ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছি। কিন্তু আমরা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করার পরেও কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। এতে তাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জোর অবেদন করেন।
এবিষয়ে মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ’আমি একযুগের বেশি সময় ধরে রাজনীতি করি। সকল আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জাবি ছাত্রদলের কমিটিতে আমার মত অনেক ত্যাগীদের জায়গায় হয়নি। এই সিনিয়র কমিটি করা হয়েছে ১ মাসের জন্য এবং সকল ত্যাগীনেতাকর্মী পরিচয় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু সেখানে উল্টো টা পরিলক্ষিত হয়। এখানে অনেক ত্যাগী কর্মীকে বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ ও বির্তকিত লোকজন এমনকি ৫ তারিখের পর রাজনীতিতে এসেছে এমন প্রায় শতাধিক লোক পদ পেলেও আমরা বঞ্চিত হলাম। এতো বড় কমিটি করার কারণ হলো ত্যাগীদের বাদ দিয়ে আগামী কমিটিও যেনো তারা কুক্ষিগত করতে পারে তাই ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্টদের দিয়ে কমিটি করে ভোটার বৃদ্ধি করে কাউন্সিল দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। একজন ত্যাগী কর্মী হিসেবে দলের এমন ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতি দলের হাইকমান্ডকে জানানোর প্রয়োজন অনুভব করায় আমরা বিএনপির দপ্তরে আবেদন করেছি। আমরা কারো বিরুদ্ধে বলিনি শুধু বাস্তবতা তুলে ধরেছি।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
……………..
জোবায়ের জাকির
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬-০১-২৫