০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে ডিআইইউ’তে লিফলেট বিতরণ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৩:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 33

তানজিল কাজী ডিআইইউ প্রতিনিধি :

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

(১০ জানুয়ারি, শুক্রবার) বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন ভবনের সামনে একত্রিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

এই সময় তারা লিফলেট বিতরণ করার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র কেন প্রয়োজন তার ব্যাখ্যা করা হয়।

ডিআইইউ’র ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব হাসান বলেন, আমাদের ‘জুলাই বিপ্লব’ কোনো সন্ত্রাসী হামলা ছিল না। এটি ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র-জনতার ন্যায্য যুদ্ধ। আমাদের এই বিপ্লবকে সাংবিধানিক কাঠামোতে স্বীকৃতি দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াইকে রাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি বিপ্লব হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই লড়াই শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমতাভিত্তিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য। আমরা চাই বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়ে একটি মানবিক এবং প্রগতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক।”

ডিআইইউ’র আরেক ছাত্র প্রতিনিধি মুহতাসিম ফুয়াদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা ৭টি দাবি উত্থাপন করছি, যা হলো:
১. ১৯৭১ সালের শহীদ ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
৩. বৈষম্যবিরোধী সাংবিধানিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার করা।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৫. বিদ্যমান বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি নতুন মানবিক কাঠামো গড়ে তোলা।
৬. শহীদ ও বীরদের যথাযথ স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
৭. সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। এটি একটি বৈষম্যহীন, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার
লড়াই। আমাদের সকলকে এই দাবি আদায়ে এবং চেতনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”

শেয়ার করুন

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে ডিআইইউ’তে লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

তানজিল কাজী ডিআইইউ প্রতিনিধি :

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

(১০ জানুয়ারি, শুক্রবার) বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন ভবনের সামনে একত্রিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

এই সময় তারা লিফলেট বিতরণ করার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র কেন প্রয়োজন তার ব্যাখ্যা করা হয়।

ডিআইইউ’র ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব হাসান বলেন, আমাদের ‘জুলাই বিপ্লব’ কোনো সন্ত্রাসী হামলা ছিল না। এটি ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র-জনতার ন্যায্য যুদ্ধ। আমাদের এই বিপ্লবকে সাংবিধানিক কাঠামোতে স্বীকৃতি দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াইকে রাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি বিপ্লব হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই লড়াই শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমতাভিত্তিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য। আমরা চাই বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়ে একটি মানবিক এবং প্রগতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক।”

ডিআইইউ’র আরেক ছাত্র প্রতিনিধি মুহতাসিম ফুয়াদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা ৭টি দাবি উত্থাপন করছি, যা হলো:
১. ১৯৭১ সালের শহীদ ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
২. শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
৩. বৈষম্যবিরোধী সাংবিধানিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার করা।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৫. বিদ্যমান বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি নতুন মানবিক কাঠামো গড়ে তোলা।
৬. শহীদ ও বীরদের যথাযথ স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
৭. সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। এটি একটি বৈষম্যহীন, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার
লড়াই। আমাদের সকলকে এই দাবি আদায়ে এবং চেতনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”