টিকটকার সোহাগের জন্য আমার ঘর-সংসার সব শেষ
- প্রকাশিত: ০৮:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
- / 89
গল্পটি শুরু হয়েছে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় দুজনের মধ্যে। এরপর দুজনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ ও মুঠোফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। এক পর্যায়ে এই কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সঙ্গীত উত্থান হয়।
সেই সর্ম্পককে স্থায়ী করতে কুমিল্লা থেকে টাঙ্গাইল আসেন প্রেমিকা শান্তা আক্তার ,কিন্তু প্রেমিকার অবস্থানের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিক সোহাগ।
এদিকে সোহাগের পরিবার শান্তাকে মেনে নিতে অস্বীকার জানালে, ওই বাড়িতেই প্রেমিকের ঘরে অবস্থান নেয় শান্তা। এরমধ্যে শান্তাকে মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন করে সোহাগের স্বজনরা। কিন্তু তাতেও বাড়ি থেকে বের হয়নি শান্তা, বিয়ের দাবিতে চারদিন অবস্থান নেয়ার পর প্রেমিককে না পেয়ে ওই ঘরেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শান্তা।
জানা যায়, শান্তা আক্তারের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা প্রেমের সর্ম্পক থাকাকালীন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যায়। সে সময় সোহাগ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।
মৃত্যুর আগে প্রেমিকা অভিযোগ করে স্থানীয়দের বলেছিলেন- সোহাগই তাকে ফোনে বাড়িতে আসতে বলে। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে সোহাগের মা ছেলেকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। ওই নারী বলেন, ‘সোহাগের জন্য আমার ঘর-সংসার সব শেষ হয়ে গেছে। তিনি আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।
এ ঘটনায় সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র ঘোষ।