০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাটা সাইন্সের খুঁটিনাটি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০১:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 105

“Knowledge is Power-জ্ঞানই শক্তি” এই প্রবাদ শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তবে বর্তমান আধুনিক বিশ্বে, বিশেষ করে একবিংশ শতাব্দীতে এসে, এই প্রবাদ কিছুটা পরিমার্জন করে বলা হচ্ছে “Information is Power” অর্থাৎ তথ্যই শক্তি। পৃথিবীর যে মানুষের কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি শক্তিশালী। যখন কোনো ইনফরমেশন বা তথ্য আমরা পেতে চাই, তখন আমাদের সবার আগে প্রয়োজন হয় ডাটা। কারণ ডাটাকে প্রসেস করেই আমরা ইনফরমেশন বা তথ্য পেয়ে থাকি। ডাটার উৎপাদন হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা করি তা থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা—সব জায়গায় আমরা অসংখ্য ডাটা উৎপাদন করি। এই বিশাল সংখ্যক ডাটা প্রথমে Raw Data হিসেবে উৎপাদন হয়। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রতিদিন ইন্টারনেট বিশ্বে ২.৫ কুইন্টিলিয়ন বাইটস তথ্যের উৎপত্তি হয়। এই বিশাল সংখ্যক ডাটাকে ম্যানেজ করে ইনসাইটস বের করার জন্য রয়েছে ডাটা সায়েন্স।
ডাটা সায়েন্স হচ্ছে গণিত, পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার সায়েন্সের সংমিশ্রণে একটি নতুন বিষয় যা অসংখ্য কাঁচা ডাটা (Raw Data) বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাটা সম্পর্কিত নতুন ইনফরমেশন বের করে। ডাটা সায়েন্সের মূল উদ্দেশ্য হলো বড় আকারের ডাটা থেকে অর্থবহ তথ্য বের করা, যা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। ডাটা সায়েন্সের কয়েকটি মূল ধাপ রয়েছে, যেমন:
১. ডাটা সংগ্রহ (Data Collection): বিভিন্ন উৎস থেকে ডাটা সংগ্রহ করা বিশ্লেষণের প্রথম ধাপ। উৎসগুলো হতে পারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ই-কমার্স সাইট, স্পোর্টস, বিনোদন ইত্যাদি।
২. ডাটা পরিষ্কার (Data Cleaning): বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা ডাটা থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ সরিয়ে বিশ্লেষণের উপযোগী করে তোলা হয় এই ধাপে।
৩. ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন (Data Visualization): ডাটা বিশ্লেষণের ফলাফলকে গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
৪. প্রেডিক্টিভ মডেলিং: মেশিন লার্নিং বা এআই ব্যবহার করে ভবিষ্যদ্বাণী করা।
বাংলাদেশসহ বর্তমান বিশ্বে ডাটা সায়েন্সের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অসীম। ডাটাকে অনেক সময় বর্তমান যুগের তেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে অনেক চাকরির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে ডাটা সায়েন্সের চাকরির বাজার সব সময় থাকবে রমরমা। নতুন নতুন ব্যবসা যত গ্রো করবে, তত বেশি ডাটা উৎপাদন চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যে ডাটা সায়েন্স সম্পর্কিত কিছু চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যেমন: ডাটা ইঞ্জিনিয়ার, ডাটা এনালিস্ট, ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এনালিস্ট, ডাটা আর্কিটেক্ট, ডাটা সায়েন্টিস্ট ইত্যাদি। উচ্চতর প্রযুক্তি ও ডাটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাজীবীদের চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে আগ্রহী, তাদের কিছু কার্যকর পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ডাটা সায়েন্স হলো গণিত, পরিসংখ্যান, ও কম্পিউটার সায়েন্সের সংমিশ্রণ, তাই এসব বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে পাইথন হতে পারে প্রথম পছন্দ, তবে R প্রোগ্রামিংও খুব জনপ্রিয় ডাটা সায়েন্স শেখার জন্য। যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে আগ্রহী, আমি প্রথমেই তাদের বলব পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের বেসিকগুলো ভালো করে শিখতে। ডাটাবেস হ্যান্ডেল করার জন্য SQL, MySQL এবং প্রাথমিকভাবে ডাটা ক্লিনিং করার জন্য Microsoft Excel হতে পারে আদর্শ। ডাটাকে সহজে ভিজুয়ালাইজ করার জন্য Microsoft Power BI একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। এসব ব্যবহার করে ডাটাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
এসব বেসিক বিষয় শেখা হয়ে গেলে, ডাটা সায়েন্সের জন্য পাইথনে চমৎকার কিছু লাইব্রেরি রয়েছে, যা শিখে ফেলতে হবে। যেমন:
১. NumPy: গাণিতিক হিসাবের জন্য। ২. Pandas: ডাটা ম্যানিপুলেশনের জন্য। ৩. Matplotlib এবং Seaborn: ডাটা ভিজুয়ালাইজেশনের জন্য। ৪. Scikit-learn: মেশিন লার্নিং মডেল তৈরির জন্য।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এত কিছু শেখার পর অনুশীলন করব কিভাবে বা এত ডাটাসেট পাবো কোথায়? এর জন্য রয়েছে Kaggle, যেখানে ফ্রি ডাটাসেট পাওয়া যায় এবং ডাটা সায়েন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যায়। এটি ডাটা সায়েন্স শেখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। সেই সঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। ডাটা সায়েন্স একটি পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র, তাই নতুন প্রযুক্তি ও টেকনিক সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে এবং বিভিন্ন বই, আর্টিকেল পড়তে হবে।
উপসংহার:
ডাটা সায়েন্স হচ্ছে ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেখানে ডাটার বিশ্লেষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষেত্রের সম্ভাবনা অনন্য। তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি একটি উত্তম ক্যারিয়ার পছন্দ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে চান, তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

মো:সাব্বির হোসাইন সজিব
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

শেয়ার করুন

ডাটা সাইন্সের খুঁটিনাটি

প্রকাশিত: ০১:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

“Knowledge is Power-জ্ঞানই শক্তি” এই প্রবাদ শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তবে বর্তমান আধুনিক বিশ্বে, বিশেষ করে একবিংশ শতাব্দীতে এসে, এই প্রবাদ কিছুটা পরিমার্জন করে বলা হচ্ছে “Information is Power” অর্থাৎ তথ্যই শক্তি। পৃথিবীর যে মানুষের কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি শক্তিশালী। যখন কোনো ইনফরমেশন বা তথ্য আমরা পেতে চাই, তখন আমাদের সবার আগে প্রয়োজন হয় ডাটা। কারণ ডাটাকে প্রসেস করেই আমরা ইনফরমেশন বা তথ্য পেয়ে থাকি। ডাটার উৎপাদন হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা করি তা থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটা—সব জায়গায় আমরা অসংখ্য ডাটা উৎপাদন করি। এই বিশাল সংখ্যক ডাটা প্রথমে Raw Data হিসেবে উৎপাদন হয়। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রতিদিন ইন্টারনেট বিশ্বে ২.৫ কুইন্টিলিয়ন বাইটস তথ্যের উৎপত্তি হয়। এই বিশাল সংখ্যক ডাটাকে ম্যানেজ করে ইনসাইটস বের করার জন্য রয়েছে ডাটা সায়েন্স।
ডাটা সায়েন্স হচ্ছে গণিত, পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার সায়েন্সের সংমিশ্রণে একটি নতুন বিষয় যা অসংখ্য কাঁচা ডাটা (Raw Data) বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাটা সম্পর্কিত নতুন ইনফরমেশন বের করে। ডাটা সায়েন্সের মূল উদ্দেশ্য হলো বড় আকারের ডাটা থেকে অর্থবহ তথ্য বের করা, যা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। ডাটা সায়েন্সের কয়েকটি মূল ধাপ রয়েছে, যেমন:
১. ডাটা সংগ্রহ (Data Collection): বিভিন্ন উৎস থেকে ডাটা সংগ্রহ করা বিশ্লেষণের প্রথম ধাপ। উৎসগুলো হতে পারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ই-কমার্স সাইট, স্পোর্টস, বিনোদন ইত্যাদি।
২. ডাটা পরিষ্কার (Data Cleaning): বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা ডাটা থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ সরিয়ে বিশ্লেষণের উপযোগী করে তোলা হয় এই ধাপে।
৩. ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন (Data Visualization): ডাটা বিশ্লেষণের ফলাফলকে গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
৪. প্রেডিক্টিভ মডেলিং: মেশিন লার্নিং বা এআই ব্যবহার করে ভবিষ্যদ্বাণী করা।
বাংলাদেশসহ বর্তমান বিশ্বে ডাটা সায়েন্সের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অসীম। ডাটাকে অনেক সময় বর্তমান যুগের তেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে অনেক চাকরির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে ডাটা সায়েন্সের চাকরির বাজার সব সময় থাকবে রমরমা। নতুন নতুন ব্যবসা যত গ্রো করবে, তত বেশি ডাটা উৎপাদন চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যে ডাটা সায়েন্স সম্পর্কিত কিছু চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যেমন: ডাটা ইঞ্জিনিয়ার, ডাটা এনালিস্ট, ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এনালিস্ট, ডাটা আর্কিটেক্ট, ডাটা সায়েন্টিস্ট ইত্যাদি। উচ্চতর প্রযুক্তি ও ডাটা সায়েন্সে দক্ষ পেশাজীবীদের চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে আগ্রহী, তাদের কিছু কার্যকর পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ডাটা সায়েন্স হলো গণিত, পরিসংখ্যান, ও কম্পিউটার সায়েন্সের সংমিশ্রণ, তাই এসব বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে পাইথন হতে পারে প্রথম পছন্দ, তবে R প্রোগ্রামিংও খুব জনপ্রিয় ডাটা সায়েন্স শেখার জন্য। যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে আগ্রহী, আমি প্রথমেই তাদের বলব পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের বেসিকগুলো ভালো করে শিখতে। ডাটাবেস হ্যান্ডেল করার জন্য SQL, MySQL এবং প্রাথমিকভাবে ডাটা ক্লিনিং করার জন্য Microsoft Excel হতে পারে আদর্শ। ডাটাকে সহজে ভিজুয়ালাইজ করার জন্য Microsoft Power BI একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। এসব ব্যবহার করে ডাটাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
এসব বেসিক বিষয় শেখা হয়ে গেলে, ডাটা সায়েন্সের জন্য পাইথনে চমৎকার কিছু লাইব্রেরি রয়েছে, যা শিখে ফেলতে হবে। যেমন:
১. NumPy: গাণিতিক হিসাবের জন্য। ২. Pandas: ডাটা ম্যানিপুলেশনের জন্য। ৩. Matplotlib এবং Seaborn: ডাটা ভিজুয়ালাইজেশনের জন্য। ৪. Scikit-learn: মেশিন লার্নিং মডেল তৈরির জন্য।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এত কিছু শেখার পর অনুশীলন করব কিভাবে বা এত ডাটাসেট পাবো কোথায়? এর জন্য রয়েছে Kaggle, যেখানে ফ্রি ডাটাসেট পাওয়া যায় এবং ডাটা সায়েন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যায়। এটি ডাটা সায়েন্স শেখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। সেই সঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। ডাটা সায়েন্স একটি পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র, তাই নতুন প্রযুক্তি ও টেকনিক সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে এবং বিভিন্ন বই, আর্টিকেল পড়তে হবে।
উপসংহার:
ডাটা সায়েন্স হচ্ছে ভবিষ্যতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেখানে ডাটার বিশ্লেষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এই ক্ষেত্রের সম্ভাবনা অনন্য। তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি একটি উত্তম ক্যারিয়ার পছন্দ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যারা ডাটা সায়েন্স শিখতে চান, তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

মো:সাব্বির হোসাইন সজিব
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর