১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তরুণ প্রজন্মের চোখে ভালবাসা দিবস নিয়ে ভাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 50

ভালোবাসা অনুভূতির সর্বোচ্চ প্রকাশ। এটি কোনো সময় বা নিয়মের অপেক্ষা করে না; যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো হৃদয়ে আলো জ্বালিয়ে দিতে পারে। প্রকৃত ভালোবাসা শুধু চোখের ভাষায় নয়, হৃদয়ের গভীর উপলব্ধিতে প্রকাশ পায়। তরুণ হৃদয়গুলো যখন একে অপরকে অনুভব করতে শেখে, তখন দূরত্বও গুরুত্বহীন হয়ে যায়। দুটি মনের মিলনই ভালোবাসার প্রকৃত শক্তি, যা সকল বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যায়। ভালোবাসা দিবসে সব প্রেমিক-প্রেমিকা ও দাম্পত্যজীবনে আবদ্ধ সকল দম্পতিকে শুভেচ্ছা। ভালোবাসা থাকুক চিরকাল, হৃদয়ে, সম্পর্কে ও জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে। তরুণ প্রজন্মের চোখে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে তরুণ-তরুণীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন – তানজিল কাজী

প্রকৃতির রহস্যময় লীলা খেলায় মানুষ তার গন্তব্য খুঁজে পায়। সেই রহস্যময় লিলার মধ্যে একটা সুখময় কবিতা হলো ভালোবাসা। প্রকৃতি তার অপার করুনা দিয়ে এই ভালোবাসা নামক অনুভূতির সৃষ্টি করছে। আসলে প্রেমিকরা কি জানে ভালোবাসা কি? ভালোবাসা হচ্ছে প্রেমিকার সাথে হৃদয় উদ্দীপ্ত করা স্মৃতি। যেখানে দুটি হৃদয়ের মধ্যে মহাজাগতিক আকর্ষণ অনুভূত হয়। এই ভালোবাসার প্রথম স্থান হলো হৃদয়। ভালোবাসা অনুভবের বিষয়। যে যত এই সুখ অনুভব করতে পারে সেই-ই ততো ভালোবাসায় নিমজ্জিত হয়। প্রেমিকরা তার প্রেয়সীর চেহারার সেই মুচকি হাসি দেখে ভালোবাসে। কেউ বা তার কণ্ঠস্বর শুনে তাকে ভালোবাসে। আবার কেউ ভালোবাসে তার কৃষ্ণ কালো লম্বা কেশের আকর্ষণে। আসলে ভালোবাসাটা হয়ে যায়। হয়ত প্রকৃতিই এই মেলবন্ধন করে দেয়। প্রেমিক একা পথে তার প্রেয়সীর সঙ্গ চায়, এটাই তো ভালোবাসা। তারা দুজনে এক রাতে বসে তারা গুনবে, গান গাইবে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়াবে এটাই তো ভালোবাসা। তারা কাঁধে কাঁধ একে অন্যের পথের সারথি হয়ে পথ দেখাবে। আহ্ কত সুখময় স্মৃতি গুলো। প্রেয়সী তার প্রেমিকের আস্থা হবে। যাকে জড়িয়ে ধরে সে যেন একটু কাঁদতে পারে। এই অপরূপ দৃশ্যের জন্যই হয়ত ভালোবাসা এত সুন্দর। ভালোবাসা শব্দটা আধ্যাত্মিক, যা আত্মার ব্যাধি দূর করে। প্রেয়সীর হাত প্রেমিকের হাত থাকলে, প্রেমিক যে কোনো অসাধ্য কাজ করতে সক্ষম। সে কণ্টকাকীর্ণ পথ পারি দিয়েও তার জন্য সুখ খুঁজে নিয়ে আস্তে পারে। ভালোবাসায় মানুষকে দু:সাধ্য কাজ করতে সক্ষম করে তোলে। ভালোবাসা অমর, অপ্রতিরোধ্য, অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তাই ভালোবাসার শব্দরা বেঁচে থাকে অনন্তকাল। যতদিন এই ধরণীতে ভালোবাসার শব্দ বিদ্যমান ততদিন প্রকৃতির বিনাশ হবে না। ভালোবাসা সুন্দর এবং স্বর্গীয়। একে খুবই যতন করে আগলে রাখতে হয়।
তৌহিদ ইবনে হুমাউন
শিক্ষার্থী- ফার্মেসি বিভাগ,ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

হেমলক পানে আত্মবিসর্জন দেওয়া প্রেমিকা থেকে শুরু করে রোমিও-জুলিয়েট,সকল বয়সের মানুষের কাছেই ভালোবাসা শাশ্বত,অবিনশ্বর অনুভূতি। এ যেন এক অনুভব….দুই মেরুর দুই মানুষকে কাছাকাছি আনতে ভালোবাসার গুরুত্ব অমলিন।ক্ষুদ্র থেকে বয়োবৃদ্ধ, আবালবৃদ্ধবনিতা মত্ত ভালোবাসার উন্মাতাল হাওয়ায়…পৃথিবীর সকল ভালোবাসা অমরত্ব লাভ করুক,দেশ ও দশের হয়ে কাজ করুক।ভালোবাসা দিবসে এই হোক আমাদের সর্বোত্তম চাওয়া।
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ভালোবাসা মানব জীবনের এমন এক অমর অনুভূতি, যা সময়ের সব গণ্ডি পেরিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকে। এটি এমন এক সুর যা হৃদয়ের গভীর প্রান্ত থেকে উৎসারিত হয়। ভালোবাসা শুধু দুটি মনের মিলন নয়; এটি আত্মার এক গভীর সংলাপ। ভালোবাসা কখনো মায়ের মমতায়, কখনো প্রিয়জনের আদরে, আবার কখনো প্রকৃতির নিস্তব্ধ সৌন্দর্যে ধরা দেয়। ভালোবাসা শুধু অনুভূতির নয়, এটি আত্মা ও সম্পর্কের অদৃশ্য বন্ধন।রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা কিংবা জীবনানন্দ দাশের নিসর্গপ্রীতি আমাদের শিখিয়েছে ভালোবাসা কেবল মানুষের জন্য নয়, প্রকৃতির প্রতিও হতে পারে। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে ভালোবাসা পেয়েছে বিদ্রোহী ও আত্মত্যাগের রূপ।রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, ভালোবাসা মানেই শুধু প্রাপ্তি নয়, ত্যাগ এবং নিঃস্বার্থ আত্মসমর্পণের মাধ্যমেও ভালোবাসার পূর্ণতা পাওয়া যায়।রবীন্দ্রনাথ তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন “আমার সকল ভালোবাসা পঞ্চপ্রদীপের আলো হয়ে উঠুক।”তবে ভালোবাসা শুধু সুখের কথা বলে না; এর মধ্যে রয়েছে অপেক্ষা, যন্ত্রণা ও নিঃস্বার্থতা। ভালোবাসা এমন এক জ্যোতি, যা অন্ধকার জীবনে আলো ফেলে।ভালোবাসা কোনো শর্তের অধীন নয়, এটি হৃদয়ের উদারতা। সত্যিকারের ভালোবাসা মানুষকে পরিপূর্ণ করে, তাকে মানবিকতা ও সহমর্মিতার পথে নিয়ে যায়। তাই ভালোবাসা শুধু অনুভবের বিষয় নয়, এটি চর্চা ও যত্নেরও বিষয়। ভালোবাসার এই শাশ্বত সুরেই পৃথিবী খুঁজে পাবে শান্তি ও সৌন্দর্যের অর্থ।
মো. সামিউল হাসান অনু
শিক্ষার্থী- ইংরেজি বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতিগুলোর একটি নিঃসন্দেহে প্রেমে পড়া। এটি এমন এক আবেগ, যখন সবকিছুই কেমন যেন মধুময়।
কিছু সুস্থ-সবল মানুষকে যদি একটা নির্জন দ্বীপে ফেলে দেওয়া হয়, প্রথমে তারা খাবারের সন্ধান করবে, তারপর আশ্রয় খুঁজবে। এরপর কী হবে?
শুধু মানুষ নয়, যেকোনো প্রাণীই খাদ্য ও বাসস্থানের পর সঙ্গীর খোঁজ করে। সেই বিবেচনায়, সঙ্গী—আরও নির্দিষ্টভাবে বললে, সঙ্গীর ভালোবাসা—প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির কারণে এই মৌলিক চাহিদাটিকে আমরা বিষাক্ত করে তুলি।
যতটা দেখেছি, প্রেমে পড়ার মুহূর্তটাই সবচেয়ে মধুর। কারণ, যার প্রেম নেই, সে যেমন আফসোস করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রেমিকা পাওয়ার পর তার আফসোস আরও বেড়ে যায়। হুমায়ুন ফরিদী বলেন-প্রেমে পড়ার অনুভূতি ঠিক যেন পেটের ওপর একটা প্রজাপতি নাচছে। এর মতো এত মিষ্টি ব্যথা যেন দুনিয়াতে আর নেই।”
তানভীর আহমেদ
শিক্ষার্থী- সিএসই বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

তরুণ প্রজন্মের চোখে ভালবাসা দিবস নিয়ে ভাবনা

প্রকাশিত: ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভালোবাসা অনুভূতির সর্বোচ্চ প্রকাশ। এটি কোনো সময় বা নিয়মের অপেক্ষা করে না; যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো হৃদয়ে আলো জ্বালিয়ে দিতে পারে। প্রকৃত ভালোবাসা শুধু চোখের ভাষায় নয়, হৃদয়ের গভীর উপলব্ধিতে প্রকাশ পায়। তরুণ হৃদয়গুলো যখন একে অপরকে অনুভব করতে শেখে, তখন দূরত্বও গুরুত্বহীন হয়ে যায়। দুটি মনের মিলনই ভালোবাসার প্রকৃত শক্তি, যা সকল বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যায়। ভালোবাসা দিবসে সব প্রেমিক-প্রেমিকা ও দাম্পত্যজীবনে আবদ্ধ সকল দম্পতিকে শুভেচ্ছা। ভালোবাসা থাকুক চিরকাল, হৃদয়ে, সম্পর্কে ও জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে। তরুণ প্রজন্মের চোখে ভালবাসা দিবস উপলক্ষে তরুণ-তরুণীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন – তানজিল কাজী

প্রকৃতির রহস্যময় লীলা খেলায় মানুষ তার গন্তব্য খুঁজে পায়। সেই রহস্যময় লিলার মধ্যে একটা সুখময় কবিতা হলো ভালোবাসা। প্রকৃতি তার অপার করুনা দিয়ে এই ভালোবাসা নামক অনুভূতির সৃষ্টি করছে। আসলে প্রেমিকরা কি জানে ভালোবাসা কি? ভালোবাসা হচ্ছে প্রেমিকার সাথে হৃদয় উদ্দীপ্ত করা স্মৃতি। যেখানে দুটি হৃদয়ের মধ্যে মহাজাগতিক আকর্ষণ অনুভূত হয়। এই ভালোবাসার প্রথম স্থান হলো হৃদয়। ভালোবাসা অনুভবের বিষয়। যে যত এই সুখ অনুভব করতে পারে সেই-ই ততো ভালোবাসায় নিমজ্জিত হয়। প্রেমিকরা তার প্রেয়সীর চেহারার সেই মুচকি হাসি দেখে ভালোবাসে। কেউ বা তার কণ্ঠস্বর শুনে তাকে ভালোবাসে। আবার কেউ ভালোবাসে তার কৃষ্ণ কালো লম্বা কেশের আকর্ষণে। আসলে ভালোবাসাটা হয়ে যায়। হয়ত প্রকৃতিই এই মেলবন্ধন করে দেয়। প্রেমিক একা পথে তার প্রেয়সীর সঙ্গ চায়, এটাই তো ভালোবাসা। তারা দুজনে এক রাতে বসে তারা গুনবে, গান গাইবে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়াবে এটাই তো ভালোবাসা। তারা কাঁধে কাঁধ একে অন্যের পথের সারথি হয়ে পথ দেখাবে। আহ্ কত সুখময় স্মৃতি গুলো। প্রেয়সী তার প্রেমিকের আস্থা হবে। যাকে জড়িয়ে ধরে সে যেন একটু কাঁদতে পারে। এই অপরূপ দৃশ্যের জন্যই হয়ত ভালোবাসা এত সুন্দর। ভালোবাসা শব্দটা আধ্যাত্মিক, যা আত্মার ব্যাধি দূর করে। প্রেয়সীর হাত প্রেমিকের হাত থাকলে, প্রেমিক যে কোনো অসাধ্য কাজ করতে সক্ষম। সে কণ্টকাকীর্ণ পথ পারি দিয়েও তার জন্য সুখ খুঁজে নিয়ে আস্তে পারে। ভালোবাসায় মানুষকে দু:সাধ্য কাজ করতে সক্ষম করে তোলে। ভালোবাসা অমর, অপ্রতিরোধ্য, অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তাই ভালোবাসার শব্দরা বেঁচে থাকে অনন্তকাল। যতদিন এই ধরণীতে ভালোবাসার শব্দ বিদ্যমান ততদিন প্রকৃতির বিনাশ হবে না। ভালোবাসা সুন্দর এবং স্বর্গীয়। একে খুবই যতন করে আগলে রাখতে হয়।
তৌহিদ ইবনে হুমাউন
শিক্ষার্থী- ফার্মেসি বিভাগ,ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

হেমলক পানে আত্মবিসর্জন দেওয়া প্রেমিকা থেকে শুরু করে রোমিও-জুলিয়েট,সকল বয়সের মানুষের কাছেই ভালোবাসা শাশ্বত,অবিনশ্বর অনুভূতি। এ যেন এক অনুভব….দুই মেরুর দুই মানুষকে কাছাকাছি আনতে ভালোবাসার গুরুত্ব অমলিন।ক্ষুদ্র থেকে বয়োবৃদ্ধ, আবালবৃদ্ধবনিতা মত্ত ভালোবাসার উন্মাতাল হাওয়ায়…পৃথিবীর সকল ভালোবাসা অমরত্ব লাভ করুক,দেশ ও দশের হয়ে কাজ করুক।ভালোবাসা দিবসে এই হোক আমাদের সর্বোত্তম চাওয়া।
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ভালোবাসা মানব জীবনের এমন এক অমর অনুভূতি, যা সময়ের সব গণ্ডি পেরিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকে। এটি এমন এক সুর যা হৃদয়ের গভীর প্রান্ত থেকে উৎসারিত হয়। ভালোবাসা শুধু দুটি মনের মিলন নয়; এটি আত্মার এক গভীর সংলাপ। ভালোবাসা কখনো মায়ের মমতায়, কখনো প্রিয়জনের আদরে, আবার কখনো প্রকৃতির নিস্তব্ধ সৌন্দর্যে ধরা দেয়। ভালোবাসা শুধু অনুভূতির নয়, এটি আত্মা ও সম্পর্কের অদৃশ্য বন্ধন।রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা কিংবা জীবনানন্দ দাশের নিসর্গপ্রীতি আমাদের শিখিয়েছে ভালোবাসা কেবল মানুষের জন্য নয়, প্রকৃতির প্রতিও হতে পারে। শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে ভালোবাসা পেয়েছে বিদ্রোহী ও আত্মত্যাগের রূপ।রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, ভালোবাসা মানেই শুধু প্রাপ্তি নয়, ত্যাগ এবং নিঃস্বার্থ আত্মসমর্পণের মাধ্যমেও ভালোবাসার পূর্ণতা পাওয়া যায়।রবীন্দ্রনাথ তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন “আমার সকল ভালোবাসা পঞ্চপ্রদীপের আলো হয়ে উঠুক।”তবে ভালোবাসা শুধু সুখের কথা বলে না; এর মধ্যে রয়েছে অপেক্ষা, যন্ত্রণা ও নিঃস্বার্থতা। ভালোবাসা এমন এক জ্যোতি, যা অন্ধকার জীবনে আলো ফেলে।ভালোবাসা কোনো শর্তের অধীন নয়, এটি হৃদয়ের উদারতা। সত্যিকারের ভালোবাসা মানুষকে পরিপূর্ণ করে, তাকে মানবিকতা ও সহমর্মিতার পথে নিয়ে যায়। তাই ভালোবাসা শুধু অনুভবের বিষয় নয়, এটি চর্চা ও যত্নেরও বিষয়। ভালোবাসার এই শাশ্বত সুরেই পৃথিবী খুঁজে পাবে শান্তি ও সৌন্দর্যের অর্থ।
মো. সামিউল হাসান অনু
শিক্ষার্থী- ইংরেজি বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতিগুলোর একটি নিঃসন্দেহে প্রেমে পড়া। এটি এমন এক আবেগ, যখন সবকিছুই কেমন যেন মধুময়।
কিছু সুস্থ-সবল মানুষকে যদি একটা নির্জন দ্বীপে ফেলে দেওয়া হয়, প্রথমে তারা খাবারের সন্ধান করবে, তারপর আশ্রয় খুঁজবে। এরপর কী হবে?
শুধু মানুষ নয়, যেকোনো প্রাণীই খাদ্য ও বাসস্থানের পর সঙ্গীর খোঁজ করে। সেই বিবেচনায়, সঙ্গী—আরও নির্দিষ্টভাবে বললে, সঙ্গীর ভালোবাসা—প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির কারণে এই মৌলিক চাহিদাটিকে আমরা বিষাক্ত করে তুলি।
যতটা দেখেছি, প্রেমে পড়ার মুহূর্তটাই সবচেয়ে মধুর। কারণ, যার প্রেম নেই, সে যেমন আফসোস করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রেমিকা পাওয়ার পর তার আফসোস আরও বেড়ে যায়। হুমায়ুন ফরিদী বলেন-প্রেমে পড়ার অনুভূতি ঠিক যেন পেটের ওপর একটা প্রজাপতি নাচছে। এর মতো এত মিষ্টি ব্যথা যেন দুনিয়াতে আর নেই।”
তানভীর আহমেদ
শিক্ষার্থী- সিএসই বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়