০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুমি আমার জীবনের আসল হিরো, বাবা!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৮:২২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / 252

বিশ্বব্যাপী জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’—একটি দিন, যা উৎসর্গ করা হয় সেই মানুষটির প্রতি, যিনি নীরবে নিভৃতে সারাজীবন সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেছেন। বাবার অবদান, ত্যাগ, নিঃশব্দ ভালোবাসা আর অদম্য সংগ্রাম প্রতিদিনই অনুপ্রেরণা জোগায়।

এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে বুটেক্সের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অনুভূতির কথা—তাদের চোখে বাবা দিবসের মানে কী, আর তাঁদের জীবনে বাবার প্রভাব কতটা গভীর।

হয়তো সবসময় বলি না, কিন্তু বাবা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা – আমার মেরুদণ্ড।”
খোশবুবা আলম ব্রতী, ৪৭তম ব্যাচ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজম্যান্ট
তিনি বলেন, বাবা তার আবৃত্তির প্রথম অনুপ্রেরণা, জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে বাবার আদর্শ ও শিক্ষা আজও তাকে পথ দেখায়।

“বাবার ধৈর্য আর দৃঢ়তা, আমার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।”
– তায়াসসুক ইমাম, ৪৮তম ব্যাচ, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
বাবার নীরব সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রম তার জীবনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তার মতে, অনুভবটাই বাবা দিবসের আসল উদযাপন।

“আমার কুল ড্যাড-টাই আমায় উড়াল দেওয়ার সাহস দিয়েছে।”
সুমাইয়া বিনতে সামজাদ, ৪৮তম ব্যাচ, টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন
তিনি জানান, বাবার কাছ থেকেই জীবনে নিজের পছন্দে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেয়েছেন। প্রতিটি ছোট প্রয়াসে তিনি বাবার মুখে হাসি দেখতে চান।

“ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা বাবার কাছ থেকেই পাই।”
আবদুল্লাহ আল রাফি ফাইয়াস, ৪৬তম ব্যাচ, টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন এন্ড মেইনটেন্যান্স

ছোটবেলা থেকে বাবাই ছিলেন তার শিক্ষক, তার দিকনির্দেশক। ব্যর্থতার সময়ও বাবাই শক্তি যুগিয়েছেন।

“বাবা, তুমি সবসময় ছায়ার মতো ছিলে, আছো, থাকবে।”
সানজিদা আফরিন, ৪৯তম ব্যাচ, অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
তিনি বলেন, ছোটবেলায় কঠিন মনে হলেও, বাবার নীরব ভালোবাসা এখন বুঝতে পারেন তিনি। প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল বাবার সাহস জোগানো হাত।

তুমি আমার জীবনের আসল হিরো, বাবা!
সাদমান হাফিজ, ৫০তম ব্যাচ, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাবার বলা কথাগুলোই তাকে আশ্বস্ত করেছে। বাবার শ্রম আর সততাই তার আদর্শ।

এই ছোট ছোট কথাগুলো যেন এক একটি হৃদয়স্পর্শী কৃতজ্ঞতা। হয়তো সমাজে মা দিবসের মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও, প্রতিটি সন্তানের হৃদয়ে বাবার জায়গা ঠিকই অমলিন। বাবারা হয়তো মুখে বলেন না, তবুও তাদের নিঃশব্দ উপস্থিতি, ত্যাগ আর ভালোবাসার ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়।

শেয়ার করুন

তুমি আমার জীবনের আসল হিরো, বাবা!

প্রকাশিত: ০৮:২২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বিশ্বব্যাপী জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’—একটি দিন, যা উৎসর্গ করা হয় সেই মানুষটির প্রতি, যিনি নীরবে নিভৃতে সারাজীবন সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেছেন। বাবার অবদান, ত্যাগ, নিঃশব্দ ভালোবাসা আর অদম্য সংগ্রাম প্রতিদিনই অনুপ্রেরণা জোগায়।

এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে বুটেক্সের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অনুভূতির কথা—তাদের চোখে বাবা দিবসের মানে কী, আর তাঁদের জীবনে বাবার প্রভাব কতটা গভীর।

হয়তো সবসময় বলি না, কিন্তু বাবা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা – আমার মেরুদণ্ড।”
খোশবুবা আলম ব্রতী, ৪৭তম ব্যাচ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজম্যান্ট
তিনি বলেন, বাবা তার আবৃত্তির প্রথম অনুপ্রেরণা, জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে বাবার আদর্শ ও শিক্ষা আজও তাকে পথ দেখায়।

“বাবার ধৈর্য আর দৃঢ়তা, আমার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।”
– তায়াসসুক ইমাম, ৪৮তম ব্যাচ, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
বাবার নীরব সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রম তার জীবনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তার মতে, অনুভবটাই বাবা দিবসের আসল উদযাপন।

“আমার কুল ড্যাড-টাই আমায় উড়াল দেওয়ার সাহস দিয়েছে।”
সুমাইয়া বিনতে সামজাদ, ৪৮তম ব্যাচ, টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন
তিনি জানান, বাবার কাছ থেকেই জীবনে নিজের পছন্দে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেয়েছেন। প্রতিটি ছোট প্রয়াসে তিনি বাবার মুখে হাসি দেখতে চান।

“ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা বাবার কাছ থেকেই পাই।”
আবদুল্লাহ আল রাফি ফাইয়াস, ৪৬তম ব্যাচ, টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন এন্ড মেইনটেন্যান্স

ছোটবেলা থেকে বাবাই ছিলেন তার শিক্ষক, তার দিকনির্দেশক। ব্যর্থতার সময়ও বাবাই শক্তি যুগিয়েছেন।

“বাবা, তুমি সবসময় ছায়ার মতো ছিলে, আছো, থাকবে।”
সানজিদা আফরিন, ৪৯তম ব্যাচ, অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
তিনি বলেন, ছোটবেলায় কঠিন মনে হলেও, বাবার নীরব ভালোবাসা এখন বুঝতে পারেন তিনি। প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল বাবার সাহস জোগানো হাত।

তুমি আমার জীবনের আসল হিরো, বাবা!
সাদমান হাফিজ, ৫০তম ব্যাচ, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাবার বলা কথাগুলোই তাকে আশ্বস্ত করেছে। বাবার শ্রম আর সততাই তার আদর্শ।

এই ছোট ছোট কথাগুলো যেন এক একটি হৃদয়স্পর্শী কৃতজ্ঞতা। হয়তো সমাজে মা দিবসের মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও, প্রতিটি সন্তানের হৃদয়ে বাবার জায়গা ঠিকই অমলিন। বাবারা হয়তো মুখে বলেন না, তবুও তাদের নিঃশব্দ উপস্থিতি, ত্যাগ আর ভালোবাসার ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়।