০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী নিয়োগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১২:১৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 78

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চানভিরাকুল তার নতুন মন্ত্রিসভায় বিশিষ্ট মুসলিম নারী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী জুবাইদা থাইসেতকে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুসলিম নারী পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পদে নিয়োগ পেলেন, যা থাইল্যান্ডের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নীতিতে বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।

জুবাইদা থাইসেতের এই নিয়োগকে থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চানভিরাকুলের লক্ষ্য, নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মন্ত্রিসভা গঠন করা।

যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি জুবাইদা থাইল্যান্ডের আসাম্পশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য জুবাইদার পিতা চাদা থাইসেত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় প্রাদেশিক রাজনীতিবিদ।

জুবাইদার নিয়োগকে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পরিচয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখন ঐতিহ্য ও শিল্পকলার সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণের দ্বিমুখী দায়িত্বে থাকবে। আশা করা হচ্ছে, জুবাইদা তার আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক বহুমুখিতা, ভাষাগত বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হবেন। তার অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা সৃজনশীল শিল্প ও সাংস্কৃতিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, বিশেষ করে থাইল্যান্ডের বৈশ্বিক পর্যটনে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।

জুবাইদা থাইসেতের এই পদোন্নতি থাইল্যান্ডের মুসলিম নারী ও তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে, লিঙ্গ ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা ক্রমেই কমে আসছে এবং নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তিনি যদি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে নারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশগ্রহণ আরও প্রসারিত হবে এবং সমাজে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন আসবে।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম | ফেসবুক

শেয়ার করুন

থাইল্যান্ডে প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী নিয়োগ

প্রকাশিত: ১২:১৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চানভিরাকুল তার নতুন মন্ত্রিসভায় বিশিষ্ট মুসলিম নারী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী জুবাইদা থাইসেতকে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুসলিম নারী পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পদে নিয়োগ পেলেন, যা থাইল্যান্ডের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নীতিতে বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।

জুবাইদা থাইসেতের এই নিয়োগকে থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চানভিরাকুলের লক্ষ্য, নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মন্ত্রিসভা গঠন করা।

যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি জুবাইদা থাইল্যান্ডের আসাম্পশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য জুবাইদার পিতা চাদা থাইসেত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় প্রাদেশিক রাজনীতিবিদ।

জুবাইদার নিয়োগকে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পরিচয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখন ঐতিহ্য ও শিল্পকলার সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণের দ্বিমুখী দায়িত্বে থাকবে। আশা করা হচ্ছে, জুবাইদা তার আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক বহুমুখিতা, ভাষাগত বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হবেন। তার অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা সৃজনশীল শিল্প ও সাংস্কৃতিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, বিশেষ করে থাইল্যান্ডের বৈশ্বিক পর্যটনে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।

জুবাইদা থাইসেতের এই পদোন্নতি থাইল্যান্ডের মুসলিম নারী ও তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি প্রমাণ করছে, লিঙ্গ ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা ক্রমেই কমে আসছে এবং নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তিনি যদি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে নারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশগ্রহণ আরও প্রসারিত হবে এবং সমাজে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন আসবে।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম | ফেসবুক