দাফন করার ৯ দিন পর হাজির হলো নিখোঁজ নারী, বললেন আমি জীবিত
- প্রকাশিত: ০৯:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
- / 72
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফন করার৯ দিন পর বাড়ি ফিরে এসেছেন এক নিখোঁজ নারী। এতে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্যের পরিস্থিতি এবং সবার মনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে দাফন করা মরদেহটি কার?
ফিরে আসা নারী (রোকসানা আক্তার) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
তার আত্মীয়-স্বজনরা পাবলিকিয়ান টুডে কে জানান, মে মাসের শেষ দিকে রোকসানা চট্টগ্রামের ষোলশহরে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন কিন্তু ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে তিনি বের হয়ে যান। এরপর দীর্ঘদিন খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রোকসানা বলেন, আমি চট্টগ্রামে আমার ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় যাই। সেখানে আমি একটি চাকরি পেয়েছি,কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।
রোকসানার ভাই বলেন, গত ১৭ জুন কোরবানি ঈদের দিন বিকালে ফেনীতে থাকা খালাতো বোন ও খালাতো ভাই খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে এক নারীর লাশ পড়ে আছে।তারা সেখানে গিয়ে লাশের চেহারা রোকসানার সাথে মিল দেখে তার ভাই এবায়দুল হককে খবর দেন এবং রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের আশ-পাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখালে তারা ছবির সঙ্গে লাশটির মিল রয়েছে বলে জানান।
এরই মধ্যে ফেনী শহর ফাঁড়ির পুলিশ লাশটি মর্গে পাঠায়। পরে এবায়দুল হক আত্মীয়-স্বজনসহ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী এসআই প্রতুল দাসকে রোকসানার ছবি দেখান ও পারস্পরিক আলোচনায় তারা রোকসানার লাশ শনাক্ত করে।
পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের কাছে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশ হস্তান্তর করে।রোকসানার ভাই আরও বলেন, “ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের লাশ মনে করে পুলিশ থেকে লাশটি এনে ওইদিনই বাদ আসর রাজবল্লবপুর গ্রামের মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দিঘির দক্ষিণ পাড়ে দাফন করা হয়।”
তবে বুধবার বিকালে রোকসানা জীবিত বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান এবায়দুল।
এদিকে হঠাৎ ‘দাফন করা’ নারীকে সশরীরে বাড়িতে হাজিরের ঘটনা জানাজানি হলে,সবাই বাড়ির আশপাশে তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়