১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নববর্ষে উৎসবের রঙে বর্ণিল বাকৃবির বৈশাখী চত্বর

রিসালাত আলিফ, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: ০৭:৪২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 66

আবহমান বাংলার সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৈশাখী চত্বরে উৎসবের রঙে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সকাল ৮টায় বাকৃবির বৈশাখী চত্বরে নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

আরও পড়ুন: ববি অধ্যাপককে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি

উপাচার্য তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে এই বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা এবং গ্রামবাংলায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করতেন। এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল সম্রাটদের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার প্রচলন হয়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”

এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মাঝে ছিল শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু কিশোর কাউন্সিল কর্তৃক শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, মহিলা সংঘের বালিশ খেলাসহ নানা আয়োজন।

দুপুরে বৈশাখী চত্বরে জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানান আয়োজন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন। নানা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, ফলে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর ও রঙিন পরিবেশ

পাবলিকিয়ান টুডে / এম

শেয়ার করুন

নববর্ষে উৎসবের রঙে বর্ণিল বাকৃবির বৈশাখী চত্বর

প্রকাশিত: ০৭:৪২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আবহমান বাংলার সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বৈশাখী চত্বরে উৎসবের রঙে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সকাল ৮টায় বাকৃবির বৈশাখী চত্বরে নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

আরও পড়ুন: ববি অধ্যাপককে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি

উপাচার্য তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তি শেষে এই বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা এবং গ্রামবাংলায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করতেন। এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল সম্রাটদের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতার প্রচলন হয়। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এই কামনা করি।”

এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মাঝে ছিল শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু কিশোর কাউন্সিল কর্তৃক শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, মহিলা সংঘের বালিশ খেলাসহ নানা আয়োজন।

দুপুরে বৈশাখী চত্বরে জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানান আয়োজন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন। নানা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, ফলে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর ও রঙিন পরিবেশ

পাবলিকিয়ান টুডে / এম