চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণকাজ দীর্ঘ নয় বছরেও শেষ হয়নি। নতুন প্রশাসন আসন বরাদ্দ শুরু করলেও বন্ধবন্ধু হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে, যা ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। তবে, নির্মাণ প্রকল্পটি শুরু থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। বাজেট বরাদ্দের সীমাবদ্ধতা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা এবং পর্যাপ্ত তদারকির অভাবের ফলে কাজটি যথাসময়ে শেষ করা যায়নি।

শিক্ষার্থীরা বারংবার হল চালু করার দাবি জানালেও, প্রশাসন বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা কার্যত স্থগিত রেখেছিল। শিক্ষার্থীদের আশা ছিল নতুন প্রশাসন এসে বঙ্গবন্ধু হল চালু করবে কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা এখনও হয়ে উঠছে না। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানান,” হলটি সংস্কারের অনেক কাজ এখনো বাকি এই অবস্থায় আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে হলে তুলতে পারি না। লোক বলে অভাব,ডাইনিং ব্যবস্থা না থাকা এবং নির্মাণাধীন থাকার ফলে এখন আমরা এই হলটিতে আবাসিকভাবে বরাদ্দ দিতে পারছি না,আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব হলটিকে শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তোলার জন্য”।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল ২৮ অক্টোবর ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়েছিল। নিয়োগ দেয়া হয়েছিল প্রভোস্ট ও কর্মকর্তা কর্মচারীও। আসন বরাদ্দ না দেওয়ার ফলে, চবির আবাসিক সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে। শিক্ষার্থীরা প্রায়ই হল সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের কটেজ ও বাসাবাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল চালু হলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আবাসনের সুবিধা পেত, যা তাদের শিক্ষাজীবনে স্থিতিশীলতা আনতে পারত।

নাফিউল ইকবাল
চবি প্রতিনিধি