নান্দনিকতার মডেল, পটুয়াখালী জেলা
- প্রকাশিত: ০৯:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
- / 89
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী। ভৌগোলিক ভাবেও পটুয়াখালীর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পটুয়াখালী শহরই এখন চেনা ভার, উন্নয়নের চাকা ঘুরছে সমগ্র শহর জুড়ে। এক দশকে পাল্টে গেছে শহরের চালচিত্র। পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলায় চলছে বহুমুখী উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ।
শহরের অভ্যন্তরে সার্কিট হাউস সংলগ্ন ফোর লেন সড়ক, দৃষ্টিনন্দন লেক, শহরের উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, লোহালিয়া নদীর উপর ব্রিজ, নান্দনিক আলোকসজ্জা পটুয়াখালী শহরকে এক ভিন্ন মাত্রায় অবস্থান দিয়েছে। শহর অভ্যন্তরে যাতায়াত ব্যাবস্থা তথা রাস্তাঘাট যথেষ্ট উন্নত এবং শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলমান, এসব উন্নয়ন কাজের সমন্বয় গ্রামীন জনপদেও দেবে স্বস্তির ছোয়া।
শহরের বর্তমান অবস্থার সাথে পূর্বের অবস্থা মেলাতে গেলে আপনি ভুল করবেন, এসকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারনে ব্যস্ততম শহরে পরিনত হয়েছে পটুয়াখালী। মেগা উন্নয়ন পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে এর আশেপাশের ইউনিয়নগুলোকে আরও কাছাকাছি এবং সংযুক্ত করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এ সংক্রান্ত টেন্ডার পাস হয়ে যাবতীয় কাজ চলমান রয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং মাঝামাঝি অবস্থান করা খালটি প্রবাহমান করতে বাঁধ অপসারন করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রীজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে নির্মিত হবে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনর বিবৃতি, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পটুয়াখালীর উন্নয়ন সবার চোখে পড়ার মতো। পটুয়াখালী হবে সবার চোখে উন্নয়নের রোল মডেল। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক জেলা হবে পটুয়াখালী।’
পটুয়াখালী জেলাজুড়ে উন্নয়নের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম; পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্র, সাব মেরিন ক্যাবল ষ্টেশন, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, লেবুখালী ব্রীজ আর কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র। যা পটুয়াখালী জেলাকে করেছে আরও কয়েকগুণ সমৃদ্ধ
মুনতাসির মাহমুদ সিয়াম