‘প্রেমিকা’ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিশেষ অঙ্গ হারালেন দুই বন্ধু!
- প্রকাশিত: ০৬:২২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
- / 35
গাইবান্ধার সাঘাটায় এক প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই বন্ধু পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের সুজালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সিরাজুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলেন বন্ধু বেলাল হোসেন (২০)। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বেলাল হোসেনকে একটি পাটক্ষেত থেকে পুরুষাঙ্গ, শ্বাসনালী ও পেটকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তবে কে বা কারা তার এ অবস্থা করেছে তা জানা যায়নি।
বেলাল হোসেন সুজালপুর গ্রামের মফিজল হকের ছেলে ও সিরাজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী ঘুরিদহ ইউনিয়নের তোতা মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে তারা বন্ধু।
কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম সাজু বলেন, এক মেয়ে নিয়ে দুই বন্ধুর সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। মেয়েটি যুবক বেলালের নিকট আত্মীয়। এরইমধ্যে বেলাল জানতে পারে, তার আত্মীয় ওই মেয়ের সঙ্গে সিরাজুলের গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বেলাল ঈদের পরদিন বন্ধু সিরাজুলকে বাড়িতে ঈদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নেয়। তারপর ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক সিরাজুলের লিঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয় বেলাল। এসময় ধ্বস্তাধস্তিতে সিরাজুলের ডান হাতের দুই জায়গায় মারাত্মক জখম হয়।
পরে সিরাজুলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। একইদিন বিকেলে কামালেরপাড়া ইউনিয়নের একটি বিলের পাটক্ষেতে বেলালকে শ্বাসনালি, পেট ও লিঙ্গ কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাকেও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে বেলাল হোসেনের মৃত্যু হয়।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মততাজুল হক বলেন, এ ঘটনার পর একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ বগুড়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলাল হোসেন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।