০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ববিতে অগ্নিরাঙা পলাশে বসন্তের আগমনী বার্তা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 31

এনামুল হোসেন, ববি প্রতিনিধি

ফুলের প্রতি দুর্বলতা মানুষের স্বভাবজাত এক বৈশিষ্ট্য। আর ফুলটি যদি হয় পলাশ তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই! প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের মাত্র কয়েকটা দিন বাকি৷ তবে রূপসী বাংলার কবির জন্মভূমি বরিশালের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে রঙিন পলাশ যেন বসন্তের আগমনী বার্তা ছড়াতে শুরু করেছে।

ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশে সারি সারি অগ্নিরাঙা পলাশ ফুলের চোখ জুড়ানো হাসি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মাঝে। চোখ জুড়ানো পলাশের হাসি যেন সবুজ ক্যাম্পাসের বুকে এক টুকরো আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রবিউল খান বলেন, ‍‍`পলাশ আমার প্রিয় ফুল। পলাশ শুধু ফুল নয়। পলাশের প্রতিটি লাল পাতা যেন কথা বলে। ক্যাম্পাসের স্বল্প সময়ে আমাদের মনের আনন্দের সাথে মিশে থাকে পলাশ। পলাশ স্মৃতির নিখুঁত অটুট বন্ধন, যেখানে ছুটে বেড়ায় মন। রেখে আসা জীবনের ভালোবাসা আবার পূর্ণ হয় পলাশের আগমনে। পলাশ ফুল যেন মনে করিয়ে দেয় আমাদের ফেলে আসা অতীতের কথা, কিছুটা চঞ্চলা, উদাসী, ফেলে আসা আবেগের এক বিন্দু মোনালিসা!

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্ল্যাহ শুভ পলাশ ফুল নিয়ে তার অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের খেলার মাঠের পাশের রাস্তাগুলোতে ফুটন্ত পলাশ ফুল যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। মনে হয় পলাশ তার লাল রঙে নতুনভাবে ক্যাম্পাসকে রাঙিয়ে তুলছে। গাছের ফুটন্ত পলাশ আর ঝড়ে পড়া পলাশ ফুলে চারপাশটায় অনেকটা ভালো লাগা কাজ করে।’

প্রসঙ্গত, পলাশের আরেক নাম ‘কিংশুক’। ইংরেজিতে যা Flame of the forest নামে প্রচলিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Butea monospera (বুটিয়া মনোস্পার্মা)। গাছটির উচ্চতা গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৫ মিটার। থোকায় থোকায় ফুলে পূর্ণ থাকে শাখাপ্রশাখা। কুঁড়ি দেখতে অনেকটা বাঘের নখের মতো। গাছটির বাকল ধূসর রং বিশিষ্ট।

আঁকাবাঁকা শাখাপ্রশাখা ও কান্ডবিশিষ্ট পলাশের পাতা রেশমের মতোই সূক্ষ্ম। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে পলাশের বংশ বিস্তার করা হয়। সুবাস না থাকলেও সৌন্দর্য ছড়াতে জুড়ি নেই পলাশের। আছে ওষুধি গুণাগুণও।

শেয়ার করুন

ববিতে অগ্নিরাঙা পলাশে বসন্তের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এনামুল হোসেন, ববি প্রতিনিধি

ফুলের প্রতি দুর্বলতা মানুষের স্বভাবজাত এক বৈশিষ্ট্য। আর ফুলটি যদি হয় পলাশ তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই! প্রকৃতিতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের মাত্র কয়েকটা দিন বাকি৷ তবে রূপসী বাংলার কবির জন্মভূমি বরিশালের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে রঙিন পলাশ যেন বসন্তের আগমনী বার্তা ছড়াতে শুরু করেছে।

ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশে সারি সারি অগ্নিরাঙা পলাশ ফুলের চোখ জুড়ানো হাসি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মাঝে। চোখ জুড়ানো পলাশের হাসি যেন সবুজ ক্যাম্পাসের বুকে এক টুকরো আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রবিউল খান বলেন, ‍‍`পলাশ আমার প্রিয় ফুল। পলাশ শুধু ফুল নয়। পলাশের প্রতিটি লাল পাতা যেন কথা বলে। ক্যাম্পাসের স্বল্প সময়ে আমাদের মনের আনন্দের সাথে মিশে থাকে পলাশ। পলাশ স্মৃতির নিখুঁত অটুট বন্ধন, যেখানে ছুটে বেড়ায় মন। রেখে আসা জীবনের ভালোবাসা আবার পূর্ণ হয় পলাশের আগমনে। পলাশ ফুল যেন মনে করিয়ে দেয় আমাদের ফেলে আসা অতীতের কথা, কিছুটা চঞ্চলা, উদাসী, ফেলে আসা আবেগের এক বিন্দু মোনালিসা!

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্ল্যাহ শুভ পলাশ ফুল নিয়ে তার অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের খেলার মাঠের পাশের রাস্তাগুলোতে ফুটন্ত পলাশ ফুল যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। মনে হয় পলাশ তার লাল রঙে নতুনভাবে ক্যাম্পাসকে রাঙিয়ে তুলছে। গাছের ফুটন্ত পলাশ আর ঝড়ে পড়া পলাশ ফুলে চারপাশটায় অনেকটা ভালো লাগা কাজ করে।’

প্রসঙ্গত, পলাশের আরেক নাম ‘কিংশুক’। ইংরেজিতে যা Flame of the forest নামে প্রচলিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Butea monospera (বুটিয়া মনোস্পার্মা)। গাছটির উচ্চতা গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৫ মিটার। থোকায় থোকায় ফুলে পূর্ণ থাকে শাখাপ্রশাখা। কুঁড়ি দেখতে অনেকটা বাঘের নখের মতো। গাছটির বাকল ধূসর রং বিশিষ্ট।

আঁকাবাঁকা শাখাপ্রশাখা ও কান্ডবিশিষ্ট পলাশের পাতা রেশমের মতোই সূক্ষ্ম। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে পলাশের বংশ বিস্তার করা হয়। সুবাস না থাকলেও সৌন্দর্য ছড়াতে জুড়ি নেই পলাশের। আছে ওষুধি গুণাগুণও।