০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ববিতে পরীক্ষার প্রশ্নে শেখ হাসিনার বিতর্কিত উক্তি দিয়ে উদাহরণ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / 21

ববি প্রতিনিধি:  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বাংলা বিভাগের ভাষাবিজ্ঞান কোর্সের প্রশ্নে এবার মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের নাতিপুতি নিয়ে শেখ হাসিনার বিতর্কিত উক্তিটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। “মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি পুতিরা কেউ মেধাবী না?  যত রাজাকারের বাচ্চা নাতি পুতিরা মেধাবী?” উক্তিটি প্রশ্নেপত্রে উল্লেখ করে ‘স্বরতরঙ্গের’ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রশ্নে এমন উদাহরণ ব্যবহার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ভাষাবিজ্ঞান কোর্সের প্রথম মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নে মন্তব্যটি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নটি করেছেন কোর্সটির শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার। 

প্রশ্নপত্রে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি পুতিরা কেউ মেধাবী না?  যত রাজাকারের বাচ্চা নাতি পুতিরা মেধাবী?” উক্তিটি উল্লেখ করে বাক্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বরতরঙ্গের সাধারণ, উঁচু ও নিচু তিনটি অবস্থান বর্ণনা করতে বলা হয়েছে। 

প্রশ্নপত্রটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্নটি শেয়ার করে মোহাম্মদ ইমাম লিখেছেন, “এই প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতি যারা এক্সাম দিছে তাদের অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন।” 

বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলম বলেন, বাক্যটি স্বরতরঙ্গ বিষয়ের বাস্তবিক একটা উদাহরণ। এমন বাস্তব উদাহরণের সাহায্যে স্বরতরঙ্গের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভাবতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় তো নতুন নতুন জ্ঞান, আহরণ, সৃজন, বিতরণের স্থান। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে যাতে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগৎ বৃদ্ধি পায়। 

কোর্সটির শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, স্বরতরঙ্গে সাধারণত বাক্যে কোন শব্দের ওপরে জোর প্রয়োগ করতে এমন শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, এখানে রাজাকার শব্দটির ওপরে জোর প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে বাস্তবিক উদাহরণে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে, বাস্তব যে কোন বিষয়কে স্বরতরঙ্গের মাধ্যমে ব্যাখা করতে পারবে সেই জায়গা থেকেই প্রশ্নে উক্তিটির উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

ববিতে পরীক্ষার প্রশ্নে শেখ হাসিনার বিতর্কিত উক্তি দিয়ে উদাহরণ

প্রকাশিত: ০৬:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ববি প্রতিনিধি:  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বাংলা বিভাগের ভাষাবিজ্ঞান কোর্সের প্রশ্নে এবার মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের নাতিপুতি নিয়ে শেখ হাসিনার বিতর্কিত উক্তিটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। “মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি পুতিরা কেউ মেধাবী না?  যত রাজাকারের বাচ্চা নাতি পুতিরা মেধাবী?” উক্তিটি প্রশ্নেপত্রে উল্লেখ করে ‘স্বরতরঙ্গের’ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রশ্নে এমন উদাহরণ ব্যবহার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ভাষাবিজ্ঞান কোর্সের প্রথম মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নে মন্তব্যটি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নটি করেছেন কোর্সটির শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার। 

প্রশ্নপত্রে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি পুতিরা কেউ মেধাবী না?  যত রাজাকারের বাচ্চা নাতি পুতিরা মেধাবী?” উক্তিটি উল্লেখ করে বাক্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বরতরঙ্গের সাধারণ, উঁচু ও নিচু তিনটি অবস্থান বর্ণনা করতে বলা হয়েছে। 

প্রশ্নপত্রটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্নটি শেয়ার করে মোহাম্মদ ইমাম লিখেছেন, “এই প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতি যারা এক্সাম দিছে তাদের অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন।” 

বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলম বলেন, বাক্যটি স্বরতরঙ্গ বিষয়ের বাস্তবিক একটা উদাহরণ। এমন বাস্তব উদাহরণের সাহায্যে স্বরতরঙ্গের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভাবতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় তো নতুন নতুন জ্ঞান, আহরণ, সৃজন, বিতরণের স্থান। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে যাতে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগৎ বৃদ্ধি পায়। 

কোর্সটির শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, স্বরতরঙ্গে সাধারণত বাক্যে কোন শব্দের ওপরে জোর প্রয়োগ করতে এমন শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, এখানে রাজাকার শব্দটির ওপরে জোর প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে বাস্তবিক উদাহরণে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে, বাস্তব যে কোন বিষয়কে স্বরতরঙ্গের মাধ্যমে ব্যাখা করতে পারবে সেই জায়গা থেকেই প্রশ্নে উক্তিটির উল্লেখ করা হয়েছে।