০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে চুরির ফুল দিয়ে ইসকন মন্দিরে পূজা: শাস্তির আওতায় তিন শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 37

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হল থেকে তিন বস্তা ফুল চুরির ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। চুরি হওয়া ফুলগুলো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনে অবস্থিত ভক্তি কুটির ইসকন মন্দিরে পুষ্পাঅভিষেক পূজায় ব্যবহার করা হয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম ইসকন মন্দিরে যান এবং সেখানে হলের ফুল শনাক্ত করেন। এ সময় তিনি এক শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।

পরে আরও দুই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে তলব করা হয়। অভিযুক্তরা প্রক্টরের সামনে তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ বিষয়ে শহীদ নাজমুল আহসান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে হলের গার্ডরা ফুল চুরির ঘটনা আমাকে জানায়। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে ইসকন মন্দিরে চুরিকৃত ফুল শনাক্ত করি। সেখান থেকে একজন শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। চুরির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা হলের বাগান থেকে তিন বস্তা ফুল নিয়ে যায় এবং তা মন্দিরের পুজার কাজে ব্যবহার করে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চুরি করা জিনিস দিয়ে করা যায় না।’

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির ৭ নং ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহীদ নাজমুল আহসান হলের একজন শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়। শহীদ শামসুল হক হলের অপর দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, ‘ধর্মীয় প্রার্থনা চুরি করা জিনিস দিয়ে হতে পারে না। অভিযুক্তরা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থী। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুন

বাকৃবিতে চুরির ফুল দিয়ে ইসকন মন্দিরে পূজা: শাস্তির আওতায় তিন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৬:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হল থেকে তিন বস্তা ফুল চুরির ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। চুরি হওয়া ফুলগুলো হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনে অবস্থিত ভক্তি কুটির ইসকন মন্দিরে পুষ্পাঅভিষেক পূজায় ব্যবহার করা হয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম ইসকন মন্দিরে যান এবং সেখানে হলের ফুল শনাক্ত করেন। এ সময় তিনি এক শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।

পরে আরও দুই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে তলব করা হয়। অভিযুক্তরা প্রক্টরের সামনে তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ বিষয়ে শহীদ নাজমুল আহসান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে হলের গার্ডরা ফুল চুরির ঘটনা আমাকে জানায়। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে ইসকন মন্দিরে চুরিকৃত ফুল শনাক্ত করি। সেখান থেকে একজন শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। চুরির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা হলের বাগান থেকে তিন বস্তা ফুল নিয়ে যায় এবং তা মন্দিরের পুজার কাজে ব্যবহার করে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চুরি করা জিনিস দিয়ে করা যায় না।’

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির ৭ নং ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহীদ নাজমুল আহসান হলের একজন শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়। শহীদ শামসুল হক হলের অপর দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, ‘ধর্মীয় প্রার্থনা চুরি করা জিনিস দিয়ে হতে পারে না। অভিযুক্তরা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থী। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’