১১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঁচে থাকলে আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবে আমার স্ত্রী, তাই মাইরা ফেললাম’

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৭:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / 53

ছবি: সংগ্রহিত

নিজে একাই মইরা যাইতাম,কিন্তু এরে (স্ত্রী) যদি বাঁচাইয়া রাইখা যাইতা।, সে আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করতে। তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসুলের সব সুন্নাহগুলো আমার জীবনে বাস্তবায়িত করমু। কিন্তু  আমি পারলাম না।’

স্ত্রী মীম(১৭)আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহের পাশে চিরকুট  লিখে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান স্বামী আল-আমিন(২৪)।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মীম আক্তার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দি  গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। স্বামী আল আমিন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কালাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আব্দুস সামাদের বাসার তিনতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্থানীয় সাদ টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করতেন।

খবর পেয়ে বিকেলে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে  মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে আর আমিন পলাতক রয়েছে। মীম আক্তার এবং আল-আমিন আপন চাচাতো ভাই-বোন। গত ৯ মাস আগে তাদের বিবাহ হয়।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আব্দুল কুদ্দুছ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত তিন মাস আগে আল-আমিন তার স্ত্রী মীম আক্তারকে নিয়ে ওই বাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার দুপর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে সে তার স্ত্রীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে,পরে দরজায় তালা মেরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার অফিসের সহকর্মী আরিফকে ফোনে করে জানান স্ত্রী মীম আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে তালা দিয়ে চলে এসেছেন। দেয়ালে তার (স্ত্রীর) নানার নাম্বার লেখা আছে। তাদেরকে খবর দিয়ে যেন মরদেহ দিয়ে দেয়।

তবে কি কারণে তিনি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন, তা কেউ জানাতে পারেনি

শেয়ার করুন

বেঁচে থাকলে আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবে আমার স্ত্রী, তাই মাইরা ফেললাম’

প্রকাশিত: ০৭:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

নিজে একাই মইরা যাইতাম,কিন্তু এরে (স্ত্রী) যদি বাঁচাইয়া রাইখা যাইতা।, সে আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করতে। তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসুলের সব সুন্নাহগুলো আমার জীবনে বাস্তবায়িত করমু। কিন্তু  আমি পারলাম না।’

স্ত্রী মীম(১৭)আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহের পাশে চিরকুট  লিখে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান স্বামী আল-আমিন(২৪)।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মীম আক্তার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দি  গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। স্বামী আল আমিন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কালাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আব্দুস সামাদের বাসার তিনতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্থানীয় সাদ টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করতেন।

খবর পেয়ে বিকেলে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে  মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে আর আমিন পলাতক রয়েছে। মীম আক্তার এবং আল-আমিন আপন চাচাতো ভাই-বোন। গত ৯ মাস আগে তাদের বিবাহ হয়।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আব্দুল কুদ্দুছ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত তিন মাস আগে আল-আমিন তার স্ত্রী মীম আক্তারকে নিয়ে ওই বাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার দুপর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে সে তার স্ত্রীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে,পরে দরজায় তালা মেরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার অফিসের সহকর্মী আরিফকে ফোনে করে জানান স্ত্রী মীম আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে তালা দিয়ে চলে এসেছেন। দেয়ালে তার (স্ত্রীর) নানার নাম্বার লেখা আছে। তাদেরকে খবর দিয়ে যেন মরদেহ দিয়ে দেয়।

তবে কি কারণে তিনি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন, তা কেউ জানাতে পারেনি