যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত জেলা কমিটি দুই যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৪ সদস্য সহ ৬ জন পদত্যাগ করেছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক- ৫ মোঃ সজীব হোসেন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।এর আগে, কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগ করেন। এ-কমিটির আরও চার সদস্য—জামাল ভূঁইয়া, মেহেদি হাসান সাব্বির, সামিউল আলম ও নিপা সরকার ও তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ সজীব হোসেন তার পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রকাশিত কমিটিতে চরম বৈষম্যের স্বীকার নিবেদিত ছাত্র-জনতা। আজকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী অংঙ্গ- সংগঠনকে বিশেষ করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ কারতে সরকারের কাছে দাবি করেছি। কিন্তু আমরা নিজেরাই ছাত্রলীগকে পূনর্বাসন করছি। যা আমাদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি। বাংলাদেশের নাগরিকদের সকল নায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ্ । তবুও অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে রাজি নয়। তাই আমি যুগ্ম আহবায়কেন পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

পদত্যাগ করে মেহেদী হাসান সাব্বির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন,” উক্ত কমিটিতে নেতৃত্ব পর্যায় এবং সদস্য হিসেবে অনেকের নাম প্রশ্নবিদ্ধ, এবং কারো কারো নৈতিকতারও প্রশ্ন উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, যশোর আন্দোলনে যারা যোগ্য এবং সত্যিকারের সম্মুখযোদ্ধা, তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়িত হওয়া উচিত।
দুঃখজনকভাবে, দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই, যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল, তারাই এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে। এর ফলে, এই কমিটিতে থাকা আমার অবস্থান বৈষম্যকে সমর্থন করার সমতুল্য। তাই, আমি এই কমিটি থেকে নিজেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।
আমি আশঙ্কা করছি, এই কমিটির মাধ্যমে যশোরে অসুস্থ সংস্কৃতি এবং রাজনীতির চর্চা শুরু হবে। আমি আগেই বলেছি, আমি পদ প্রত্যাশী নই। আমার জায়গায় যদি অন্য যোগ্য কাউকে রাখা হয়, আমি আরও বেশি খুশি হতাম ।

উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাশেদ খানকে আহ্বায়ক এবং জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তিকে সদস্য সচিব করে ১১৪ সদস্য বিশিষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা কমিটি গঠন করা হয়।