ভর্তিতে কোটা সংস্কার দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান
- প্রকাশিত: ০১:০৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 30
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতি বহাল থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেও মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন—এমন অভিযোগ তুলেছেন তারা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটার সম্পূর্ণ বাতিল এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার আসনসংখ্যা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ বাতিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার হার ২ শতাংশের বেশি না রাখা, ভর্তি পরীক্ষায় কোটাধারীদের জন্য পাশ নম্বর কোনো অবস্থাতেই শিথিল না করা এবং জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজু শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৩২ নম্বর পেলেও কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে—এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য! বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা অবশ্যই সংস্কার করা দরকার। মেধাবীদের অবহেলা করে কোটা টিকিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই।”
অপর শিক্ষার্থী মো. আবু জাহিদ বলেন, “বর্তমান সময়ে ২-১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রেখে বাকি সব কোটা তুলে দেওয়া উচিত। এখন সময় এসেছে নতুন করে মূল্যায়ন করার—কারা আসলেই পিছিয়ে আছে।” আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “৩ থেকে ৫ শতাংশের বেশি কোটা রাখা অনৈতিক। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে এটি মোট আসনের ৫ শতাংশের নিচে আনতে হবে।”
বর্তমানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোটার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, পোষ্য, হরিজন ও দলিত গোষ্ঠী এবং খেলোয়াড় কোটা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোটার মাধ্যমে ১১৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে এ ইউনিট থেকে ৬ জন, বি ইউনিট থেকে ৮৬ জন এবং সি ইউনিট থেকে ২৬ জন ভর্তি হন। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন, আর পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। মোট আসনসংখ্যা ১,১১০টির মধ্যে কোটায় ভর্তি হয়েছেন ১০.৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
/অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ