১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাভাবিপ্রবি শুধু আশ্বাসেই আটকে, র‍্যাঙ্কিংয়ে নেই এবারও

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 25

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: রায়হান আহমেদ

বিশ্বখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ এবারও জায়গা হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি)। প্রতিবছরই এই তালিকা প্রকাশের সময় শিক্ষার্থীদের আশার বেলুন ফাটে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেলেও মাভাবিপ্রবির নামের পাশে শুধুই শূন্যতা। অথচ একসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির যে সম্ভাবনার কথা বলা হতো, তার কিছুই এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

গবেষণায় যে ভয়াবহ শূন্যতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নাসির স্বীকার করেছেন, গবেষণায় বিনিয়োগ নেই, অনুদান নেই, আন্তর্জাতিক প্রকল্প তো অনেক দূরের কথা। বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন যুগোপযোগী গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মাভাবিপ্রবি মূলত কাগজে-কলমেই ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’।

তাঁর কথায় আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষকসংখ্যা এত কম যে, র‍্যাঙ্কিংয়ের শর্ত পূরণ করাই সম্ভব নয়। র‍্যাঙ্কিংয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ৩৫টি বিভাগ ও ৭০০ শিক্ষক দরকার, অথচ এখানকার অবস্থা নাজুক। গবেষণাপত্র প্রকাশের হারও উদ্বেগজনক।

শেয়ার করুন

মাভাবিপ্রবি শুধু আশ্বাসেই আটকে, র‍্যাঙ্কিংয়ে নেই এবারও

প্রকাশিত: ১০:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: রায়হান আহমেদ

বিশ্বখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ এবারও জায়গা হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি)। প্রতিবছরই এই তালিকা প্রকাশের সময় শিক্ষার্থীদের আশার বেলুন ফাটে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেলেও মাভাবিপ্রবির নামের পাশে শুধুই শূন্যতা। অথচ একসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির যে সম্ভাবনার কথা বলা হতো, তার কিছুই এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

গবেষণায় যে ভয়াবহ শূন্যতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নাসির স্বীকার করেছেন, গবেষণায় বিনিয়োগ নেই, অনুদান নেই, আন্তর্জাতিক প্রকল্প তো অনেক দূরের কথা। বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন যুগোপযোগী গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মাভাবিপ্রবি মূলত কাগজে-কলমেই ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’।

তাঁর কথায় আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষকসংখ্যা এত কম যে, র‍্যাঙ্কিংয়ের শর্ত পূরণ করাই সম্ভব নয়। র‍্যাঙ্কিংয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ৩৫টি বিভাগ ও ৭০০ শিক্ষক দরকার, অথচ এখানকার অবস্থা নাজুক। গবেষণাপত্র প্রকাশের হারও উদ্বেগজনক।