মেধা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন হয়নি ডিপিডিসির এমডি নিয়োগে | Publician Today

মেধা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন হয়নি ডিপিডিসির এমডি নিয়োগে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৪৯

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বি. এম. মিজানুল হাসান। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ঘনিষ্ঠজন এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।

অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে যে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং ডেসকোর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলামকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বিগত সরকার আমলে চারবার এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আরও চারবার—মোট আটবার এমডি বা নির্বাহী পরিচালক পদে চূড়ান্ত তালিকায় তিনি কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, তিনি ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী পদে তিন বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু পদোন্নতির সময় তাকে উপেক্ষা করে তার অধীনে কাজ করা জুনিয়র কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং তাকে পূর্বের পদে ফিরিয়ে আনা হয়।

সর্বশেষ ডিপিডিসির এমডি নিয়োগ পরীক্ষায়ও মেধায় প্রথম স্থান অর্জন করলেও উপদেষ্টা জনাব ফাওজুল কবির খানের প্রভাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলামের রয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ খাতে ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা।

অপরদিকে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি পিজিসিবিতে কর্মরত ছিলেন—তার ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টরে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল দ্বিতীয়। উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে পিজিসিবি থেকে আসা ডিপিডিসির দুই নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং) গ্রাহকসেবা খাতে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি আনতে পারেননি। নতুন সংযোগে দুর্নীতি, কাজ না করেও বিল প্রদান, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা—সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

সাবেক আইজিপি বেনজিরের ঘনিষ্ঠজন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের বিএম মিজানুল হাসান ডিপিডিসির কান্ডারী হিসেবে কিভাবে নিয়োগ পেলেন তা নিয়ে প্রকৌশল সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।