মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ
- প্রকাশিত: ০৪:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 27
সম্প্রতি বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের অনৈতিক প্রস্তাব, গবেষণায় জালিয়াতি, এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার। বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোতে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, অধ্যাপক নাজির হোসেন গবেষণাকর্মে জালিয়াতি করেছেন এবং অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের থিসিসের কাজ প্রভাবিত করেছেন। এর পাশাপাশি, নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিক গঠন নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম আশিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে একাধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য তুলে ধরা হয়, যা অধ্যাপক নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনের পর, কিছু ব্যক্তি তৌফিকুল ইসলাম আশিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার করছে।
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি এসব মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, তৌফিকুল ইসলাম আশিকের প্রতিবেদন সম্পূর্ণরূপে তথ্যনির্ভর এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি কোন ধরনের মিথ্যাচার করেননি এবং তার প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। সমিতি দাবি করেছে যে, সাংবাদিকদের ওপর এই ধরনের অপপ্রচার স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক সমিতি আরও বলেছে যে, অধ্যাপক নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে তৌফিকুল ইসলাম আশিক বলেন,” আমি সাংবাদিকতার নিয়ম অনুসরণ করেই প্রতিবেদন তৈরি করেছি। এসব সমালোচনায় আমার সাংবাদিকতা থেমে থাকবে না। ভালো খারাপ সব কিছুই তুলে ধরা একজন সংবাদকর্মীর কাজ। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য দুর্নীতি যেমন ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি, নিয়োগে অনিয়মসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করবো।”
সাংবাদিক সমিতি সবসময় সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার পক্ষে তাদের অবস্থান জোরালোভাবে ঘোষণা করেছে। তারা তৌফিকুল ইসলাম আশিকের সাহসী ও সৎ সাংবাদিকতার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদেরকেও মিথ্যা অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
সাদিকুর রহমান সাদি