...

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৮:০২

রাবিপ্রবি’তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে অত্যাবশ্যকীয় ৪টি ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ভবন নির্মাণে পাহাড় কাঁটার দায়ে সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে পাহাড় কর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো রাঙ্গামাটিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন এই মামলা এবং নিষেধাজ্ঞা পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁরা আরও বলেন উন্নয়নের স্বার্থে পাহাড়ি অঞ্চলে কাজ করতে হলে পাহাড় কাঁটাতে হবে, উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর যদি প্রকল্প এলাকাকে সাজানোর যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না হয় তখন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। রাবিপ্রবিকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানানমুখী বাধা-বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের মনে নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিলো। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিন পর উন্নয়ন কার্যক্রমের মুখ দেখা রাবিপ্রবির উন্নয়ন যেন থমকে না পড়ে সেদিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি মামলা প্রত্যাহার এবং সরকারের পক্ষ থেকে পাহাড় কাঁটার ফলে সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালায় ঘেরাও করা হব৯ এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ, আবাসন, ল্যাবসহ সকল সুযোগ সুবিধা তাঁদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনগুলোর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় ঘোষণা দিয়েছিল যে ভবন নির্মাণের কারণে যতগুলো গাছ কাটা হবে তার দ্বিগুন গাছ লাগানো হবে।

উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ সালে আইন পাস হলেও নানা জটিলতায় ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। এ যাবতকালে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ সংকট, ল্যাব সুবিধার অভাব, পরিবহন সংকট, আবাসন ব্যবস্থার সংকটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই উন্নয়ন প্রকল্প শিক্ষার্থীদের মনে নতুন আশা জাগিয়েছিল। তবে শুরু থেকেই এই উন্নয়ন প্রকল্পেরকে ঘিরে চলছেন বহুমুখী ষড়যন্ত্র। এর আগেও উন্নয়ন প্রকল্পকে ঘিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে ধীরগতি, ক্যাম্পাসে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, সর্বশেষ হাইকোর্ট কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে নিষেধাজ্ঞা এবং মামলা স্পষ্ট ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এসএইচ | ফেসবুক