বাংলাদেশের প্রটোকল বা ‘অর্ডার অফ প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিভিআইপি হিসেবে রাষ্ট্রের কেবল দুই সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে গণ্য করা হয়। তারা হলেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশ সফরের সময় একই মর্যাদা পান।
তবে প্রয়োজনে সরকার বিশেষ কোনো ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করতে পারে।
গতকাল সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। একই সঙ্গে তার নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী—স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)—নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, এসএসএফ আইন, ২০২১-এর ধারা ২(ক) অনুসারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এসএসএফ আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও যে কোনো ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই বাহিনীর দায়িত্ব। আইনের ৮(২) ধারা অনুযায়ী এসএসএফ বাংলাদেশে অবস্থানরত ভিভিআইপিকে দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তায় হুমকি মনে হলে এসএসএফ কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখে এবং এই ক্ষমতা দেশের সর্বত্র প্রযোজ্য। পরিস্থিতি গুরুতর হলে এসএসএফ অস্ত্র ব্যবহারসহ প্রাণঘাতী পদক্ষেপও নিতে পারে।
পাবলিকিয়ান টুডে/ সংগৃহীত | ফেসবুক