০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাসূল আমাদের কলিজা,কোনো অপমান সহ্য করা হবে না – নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১১:৫৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 27

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি ( মিরাজ মাহমুদ):

ভারতে ধর্ম ও রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সচেতন ছাত্রসমাজ, নোবিপ্রবি। রাসূল আমাদের কলিজা, তাঁর বিরুদ্ধে কোন অপমান সহ্য করা হবে না। এমন দাবী নিয়েই মানববন্ধনে যোগ দেয় সকল শিক্ষার্থীরা। এসময় নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবারসহ বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে দুপুর ০১টা ৩০ মিনিটে এ সমাবেশ শুরু হয়। এসময় ভারতবিরোধী স্লোগনসহ ইসলামিক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারতের ব্যার্থতার অভিযোগ। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা গোলচত্বর প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে উপস্থিত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, “আমরা আমাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)কে। নবী করিম (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি আমরা কখনোই কোনো ভাবেই মেনে নিবো না।ভারত নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তারা এধরণের কাজ করে এই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।আমরা তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করছি”।

ফার্মেসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া বলেন- ” রাসূল (সা) কে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। আমি একটা কথা বলতে চাই, তুমি বাম হও তাতে আমার সমস্যা নাই, তুমি নাস্তিক হও তাতেও আমার সমস্যা নাই কিন্তু তুমি যদি আমার নবীকে নিয়ে কথা বলো, ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করো তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবোই করবো।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী দুর্জয় বলেন, কূটনীতির ভাষায় ডমিনো ইফেক্ট বলে একটা তত্ত্ব আছে। দিল্লী এই অঞ্চল অস্থিতিশীল করে রাখতে সাম্প্রদায়িকতার ডমিনো ত্বত্ত্বের প্রয়োগের ইতিহাস বেশ পুরনো। বাংলা বসন্তকে মৌলবাদীদের আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। একটি ব্যাপারে সবার সচেতন থাকা উচিত তা হচ্ছে, যুগে যুগে পৃথিবীতে আসা মহামানবরা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের একক সম্পত্তি নন বরং তারা সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। কেননা বৈশ্বিকভাবে নৈতিকতা এবং মোরালের মানদণ্ড এখনো মোটাদাগে ধর্মের উপরই দাড়িয়ে আছে। তাই মহামানবদের কটুক্তি শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয় বরং মানবতার বিরুদ্ধে আক্রমণ।

তিনি আরো বলেন, এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানানো শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয় মানবিক দায়িত্বও বটে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উচিত, প্রফেট হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)ও ধর্ম অবমাননা সাম্প্রদায়িকতা উষ্কে দেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

শেয়ার করুন

রাসূল আমাদের কলিজা,কোনো অপমান সহ্য করা হবে না – নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:৫৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি ( মিরাজ মাহমুদ):

ভারতে ধর্ম ও রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সচেতন ছাত্রসমাজ, নোবিপ্রবি। রাসূল আমাদের কলিজা, তাঁর বিরুদ্ধে কোন অপমান সহ্য করা হবে না। এমন দাবী নিয়েই মানববন্ধনে যোগ দেয় সকল শিক্ষার্থীরা। এসময় নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবারসহ বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে দুপুর ০১টা ৩০ মিনিটে এ সমাবেশ শুরু হয়। এসময় ভারতবিরোধী স্লোগনসহ ইসলামিক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারতের ব্যার্থতার অভিযোগ। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা গোলচত্বর প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে উপস্থিত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, “আমরা আমাদের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)কে। নবী করিম (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি আমরা কখনোই কোনো ভাবেই মেনে নিবো না।ভারত নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তারা এধরণের কাজ করে এই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।আমরা তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করছি”।

ফার্মেসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া বলেন- ” রাসূল (সা) কে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। আমি একটা কথা বলতে চাই, তুমি বাম হও তাতে আমার সমস্যা নাই, তুমি নাস্তিক হও তাতেও আমার সমস্যা নাই কিন্তু তুমি যদি আমার নবীকে নিয়ে কথা বলো, ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করো তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবোই করবো।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী দুর্জয় বলেন, কূটনীতির ভাষায় ডমিনো ইফেক্ট বলে একটা তত্ত্ব আছে। দিল্লী এই অঞ্চল অস্থিতিশীল করে রাখতে সাম্প্রদায়িকতার ডমিনো ত্বত্ত্বের প্রয়োগের ইতিহাস বেশ পুরনো। বাংলা বসন্তকে মৌলবাদীদের আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। একটি ব্যাপারে সবার সচেতন থাকা উচিত তা হচ্ছে, যুগে যুগে পৃথিবীতে আসা মহামানবরা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের একক সম্পত্তি নন বরং তারা সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। কেননা বৈশ্বিকভাবে নৈতিকতা এবং মোরালের মানদণ্ড এখনো মোটাদাগে ধর্মের উপরই দাড়িয়ে আছে। তাই মহামানবদের কটুক্তি শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয় বরং মানবতার বিরুদ্ধে আক্রমণ।

তিনি আরো বলেন, এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানানো শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয় মানবিক দায়িত্বও বটে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উচিত, প্রফেট হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)ও ধর্ম অবমাননা সাম্প্রদায়িকতা উষ্কে দেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।