০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল, দ্রুত আইরিন হত্যার বিচার দাবি।

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • / 36

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
আইরিন হত্যার দ্রুত বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় সহপাঠী ও শিক্ষার্থীর বাসচাপায় মৃত্যুতে ঘাতক চালকের শাস্তির দাবি জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শেসনের শিক্ষার্থী আল আমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহিদুল হক, বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. খায়রুল ইসলাম, জিইবি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং তাসনিম জাহানের সহপাঠী হোসাইন রেফাজ অমি, মাহির হোসেন, এফইটি বিভাগের দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহিদুল হক বলেন, আইরিন আমাদের শিক্ষার্থী, আমি বেশ কয়েকটা কোর্সের ক্লাস নিয়েছি তাদের। সে অতন্ত মেধাবি ছিল তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শাবিপ্রবির প্রোক্টর অধ্যাপক মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এই ঘটনার বিচারের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

সমাপনী বক্তব্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছে প্রস্তাবনা থাকবে প্রতিটা সমস্যার জন্য যেন আলাদা স্থায়ী নীতিমালা তৈরি করা হয়। যাতে করে তাসনিমের মত তাজা প্রাণের ঝড়ে পড়ার দৃশ্য দেখতে না হয়।’

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলে ‘আমার বোন মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বিচার বিচার চাই, আইরিন হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও, লড়াই করো’, ‘সড়ক কবে হবে নিরাপদ’ প্রর্ভৃতি লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে আখালিয়া ঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়।

তাসনিম জাহান (আইরিন) সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি অনার্স শেষ করে তিনি বাড্ডা এলাকায় নেক্সট বেঞ্চার নামে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতে যোগ দিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাসনিম জাহান ও তাঁর বড়বোন নুসরাত জাহান (২৮) মধ্য বাড্ডায় প্রগতি সরণি পার হচ্ছিলেন। এ সময় সুপ্রভাত ও আকাশ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতা করলে একটির ধাক্কায় তাসনিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর বড় বোন নুসরাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেয়ার করুন

শাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল, দ্রুত আইরিন হত্যার বিচার দাবি।

প্রকাশিত: ১০:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
আইরিন হত্যার দ্রুত বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় সহপাঠী ও শিক্ষার্থীর বাসচাপায় মৃত্যুতে ঘাতক চালকের শাস্তির দাবি জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শেসনের শিক্ষার্থী আল আমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহিদুল হক, বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. খায়রুল ইসলাম, জিইবি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং তাসনিম জাহানের সহপাঠী হোসাইন রেফাজ অমি, মাহির হোসেন, এফইটি বিভাগের দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহিদুল হক বলেন, আইরিন আমাদের শিক্ষার্থী, আমি বেশ কয়েকটা কোর্সের ক্লাস নিয়েছি তাদের। সে অতন্ত মেধাবি ছিল তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শাবিপ্রবির প্রোক্টর অধ্যাপক মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এই ঘটনার বিচারের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

সমাপনী বক্তব্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছে প্রস্তাবনা থাকবে প্রতিটা সমস্যার জন্য যেন আলাদা স্থায়ী নীতিমালা তৈরি করা হয়। যাতে করে তাসনিমের মত তাজা প্রাণের ঝড়ে পড়ার দৃশ্য দেখতে না হয়।’

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলে ‘আমার বোন মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বিচার বিচার চাই, আইরিন হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও, লড়াই করো’, ‘সড়ক কবে হবে নিরাপদ’ প্রর্ভৃতি লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে আখালিয়া ঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়।

তাসনিম জাহান (আইরিন) সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি অনার্স শেষ করে তিনি বাড্ডা এলাকায় নেক্সট বেঞ্চার নামে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতে যোগ দিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাসনিম জাহান ও তাঁর বড়বোন নুসরাত জাহান (২৮) মধ্য বাড্ডায় প্রগতি সরণি পার হচ্ছিলেন। এ সময় সুপ্রভাত ও আকাশ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতা করলে একটির ধাক্কায় তাসনিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর বড় বোন নুসরাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।