শেকৃবিতে কৃষিতে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- প্রকাশিত: ০৪:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
- / 30
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বালাইনাশক উৎপাদনকারীদের নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারাস এসোসিয়েশন (বামা) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ধীন এগ্রো প্রডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) এর সহযোগিতায় “কৃষিতে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) ‘মেইড ইন বাংলাদেশ ‘ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আফম বাহাউদ্দিন নাসিম প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারাস এসোসিয়েশন (বামা) এর সভাপতি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী’র সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. অলক কুমার পাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম এবং কাজী মোহাম্মদ আনিসুর রহমান খান, উপ-পরিচালক, এগ্রো প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিএমসি)| কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, ডীন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ, মো: আমিনুল ইসলাম- সদস্য বামা ও এম এ মান্নান, সাধারণ সম্পাদক, বামা। কর্মশালায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস ছাত্র-ছাত্রীরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় নিরাপদ ভাবে কৃষি রাসায়নিকের ব্যবহার এর পাশাপাশি “মেইড ইন বাংলাদেশ” তথা বাংলাদেশে তৈরি বালাইনাশক এর ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের বালাইনাশক উৎপাদনকারীদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে বামা-এর বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম এই কর্মশালায় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, “আমাদের কৃষি এগ্রোকেমিকেল ছাড়া অচল। শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সমস্যার মূল কারনগুলোর একটা এর ব্যবহার নিষিদ্ধ, যা তাদের ফলনকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়। আমাদের দেশে মানুষ বেড়েছে, চাহিদা বেড়েছে, পাশাপাশি লাগবে পুষ্টিগুন সম্পন্ন, ফলে যথেষ্ট জটিল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের কৃষিজ উৎপাদন। আমরা দ্রুত LDC থেকে উত্তরণের জন্য সকল ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন প্রয়োজন। বিএএমএ দেশেই নিজেরা কৃষি রাসায়নিক দ্রব্য তৈরী করার সক্ষমতা অর্জন করছে এবং তাদের লক্ষ্য কৃষক পর্যন্ত কম মূল্যে দেওয়া। তবে ট্রিপ্স চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এগ্রো কেমিক্যালস এর ক্ষেত্রে পেটেন্ট পণ্যের মূল্য হ্রাস করা হয়না। তবে এক্ষেত্রে আমাদের যথাযথ পলিসি থাকা প্রয়োজন। “অনুষ্ঠানে বামা’র তরফ থেকে ৩-৪ জন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়। অনুষ্ঠান শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
শাহরিয়ার ইমন
শেকৃবি