পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শাশুড়ি। হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীর স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রাকিব (২৪), তার স্ত্রী শ্রাবণী (২২) ও শাশুড়ি শারমিন জাহান (৩৮) গত ৩০ তারিখ রাতে শ্বশুড়কে (শহীদুল ইসলাম আকন) আনতে নতুন শ্রীনগর ৯ নং ওয়ার্ড, মাধবখালী ইউনিয়নে গেলে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার শিকার হন।

রাকিব জানান, রাত ৯.৩০ টার দিকে শ্বশুড়বাড়িতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বখাটে যুবক আবুল হোসেন লাভলু, রাফসান, জুনায়েদসহ কয়েকজন সেখানে হাজির হয়। তাদের ডেকে আনে নুপুর নামে এক নারী। উপস্থিত হওয়ার পর শহিদ খার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার দুইটি আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়।

এরপর রাকিব, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং শাশুড়ির ওপর লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা রাকিবের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে কটূক্তি করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। রাকিবের স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে তার নাক ও মাথায় আঘাত করা হয়। লাভলু অন্তঃসত্ত্বা শ্রাবণীর পেটে লাথি মারেন, যার ফলে গুরুতর জখম হয়।

আত্মরক্ষার জন্য রাকিব ও তার পরিবার পাশের ঘরে আশ্রয় নেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯-এ কল করে ও মির্জাগঞ্জ থানার ওসির সহযোগিতা চান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হামলাকারীদের পরিচয়:

১. আবুল হোসেন লাভলু (৪৬)

২. রাফসান (২২) – পিতা: আবুল হোসেন

৩. জুনায়েদ (১৮) – পিতা: আবুল হোসেন

৪. রুহুল আমিন শাওন (৩৮) – পিতা: শাহ্জাহান আকন

৫. নুপুর (১৮) – স্বামী: রুহুল আমিন শাওন

৬. মারুফা – পিতা: রুহুল আমিন শাওন
৭. হামলাকারী নাম :নাসিমা (৪০) – স্বামী: আবুল হোসেন
এছাড়াও অজ্ঞাত কিছু বখাটে ছেলে এই হামলায় জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনায় মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। আহতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।