নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচআরএম) আয়োজিত সাপ্লাই চেইন রিসার্চ চ্যালেঞ্জ ৪.০ এর সেরা চার-এ উঠে এসেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘ডমিনেটরস’।

টিম ডমিনেটরস এর সদস্যরা হলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ, এ এফ এম ফজলে রাব্বি এবং ফাইনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত আরা সামীরা। সাপ্লাই চেইন রিসার্চ চ্যালেঞ্জ ৪.০ এর ৩য় রানার আপ হিসাবে নির্বাচিত হয় তারা।

দলটি প্রতিযোগিতায় তাদের গবেষণার জন্য পেয়েছে ৯০% স্কলারশিপ এবং তাদের গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘সাপ্লাই চেইন ইনসাইডার’-এ। গত বুধবার (২ অক্টোবর) আন্তরর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালটিতে তাদের গবেষণা প্রকাশিত হয়। গবেষণার শিরোনাম, ‘ দ্য রোল অব লজিস্টিক্স ইন ড্রাইভিং কাস্টমার স্যাটিসফেকশন: অ্যান ইম্পিরিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ইন বাংলাদেশ।’

তরুণ গবেষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা যে এতটুকু পেরেছি, এর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ শুকরিয়া। শিক্ষকদের গাইডলাইন এবং গবেষণার প্রতি আগ্রহের এটিই প্রথম ফসল। দোয়া করবেন, ভবিষ্যতে দেশ এবং পৃথিবীর জন্য যাতে আরও কন্ট্রিবিউট করতে পারি।’

গবেষক এ এফ এম ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ই-কমার্সের দ্রুত প্রসারের ফলে ভোক্তাদের প্রত্যাশা ও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা, পণ্যের বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে এটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মধ্যে লজিস্টিকস ভোক্তা সন্তুষ্টির একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের অনলাইন ক্রেতাদের সন্তুষ্টিতে লজিস্টিকসের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। জরিপে দেখা গেছে যে, সময়মতো ও নিরাপদ ডেলিভারি, সঠিক পণ্য সরবরাহ, গ্রাহকসেবা সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা পালন, অর্ডার ট্র্যাকিং এবং সুবিধাজনক পেমেন্ট বিকল্পগুলো ভোক্তা সন্তুষ্টিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এই গবেষণার ফলাফল ই-কমার্স ব্যবসাগুলোকে বুঝতে সাহায্য করে যে, ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ফজলে রাব্বি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং নিষ্ঠার ফলাফল, যা গবেষণা জগতে আমাদের পথচলার সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অর্জন ভবিষ্যতের আরও বড় সাফল্যের পথে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে এগিয়ে যেতে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’