০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিমেন্টে শক্তি, ভবনে ব্যাটারি—বিদ্যুৎ সঞ্চয়ে আসছে নতুন যুগ!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ১০:২৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 353


ফ্রান্সের বোর্দো বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব দ্য বাস্ক কান্ট্রির গবেষকরা সম্প্রতি এমন এক ধরনের সিমেন্ট-ভিত্তিক উপাদান তৈরি করেছেন, যা রিচার্জেবল ব্যাটারির মতো কাজ করতে পারে। তারা মেটাকাওলিন নামক একটি প্রাকৃতিক কাদামাটি থেকে জিওপলিমার পেস্ট তৈরি করেন এবং তাতে দস্তা ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড যুক্ত করেন। এর ফলে প্রতি লিটারে প্রায় ৩.৩ ওয়াট-আওয়ার শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যাটারি তৈরি হয়।

এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতে বাড়িঘর ও ভবনগুলোকে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের সক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনায় পরিণত করতে পারে। পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে প্রচলিত সিমেন্টের তুলনায় অনেক কম কার্বন নির্গমন হয়, যা পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয়ে জিংক সালফেট তৈরি হওয়ায় ব্যাটারির ইলেকট্রোড ও ইলেকট্রোলাইটের সংযোগ দুর্বল হতে পারে। এ ছাড়া, দীর্ঘ সময় পর সিমেন্ট থেকে পানি হারালে এর ইলেকট্রোকেমিক্যাল স্থিতিশীলতা হ্রাস পায়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষকরা মডুলার ডিজাইনের একটি সমাধান প্রস্তাব করেছেন, যাতে ব্যাটারির অংশগুলো আলাদা চেম্বারে রাখা যায় এবং সহজে প্রতিস্থাপন বা মেরামত করা সম্ভব হয়।

এই নতুন প্রযুক্তি যদি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তবে ভবিষ্যতের ভবনগুলো শুধু বসবাসের জন্য নয়, বরং নবায়নযোগ্য শক্তির কার্যকর ভাণ্ডার হিসেবেও কাজ করতে পারবে।

শেয়ার করুন

সিমেন্টে শক্তি, ভবনে ব্যাটারি—বিদ্যুৎ সঞ্চয়ে আসছে নতুন যুগ!

প্রকাশিত: ১০:২৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫


ফ্রান্সের বোর্দো বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব দ্য বাস্ক কান্ট্রির গবেষকরা সম্প্রতি এমন এক ধরনের সিমেন্ট-ভিত্তিক উপাদান তৈরি করেছেন, যা রিচার্জেবল ব্যাটারির মতো কাজ করতে পারে। তারা মেটাকাওলিন নামক একটি প্রাকৃতিক কাদামাটি থেকে জিওপলিমার পেস্ট তৈরি করেন এবং তাতে দস্তা ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড যুক্ত করেন। এর ফলে প্রতি লিটারে প্রায় ৩.৩ ওয়াট-আওয়ার শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যাটারি তৈরি হয়।

এই উদ্ভাবন ভবিষ্যতে বাড়িঘর ও ভবনগুলোকে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের সক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনায় পরিণত করতে পারে। পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে প্রচলিত সিমেন্টের তুলনায় অনেক কম কার্বন নির্গমন হয়, যা পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয়ে জিংক সালফেট তৈরি হওয়ায় ব্যাটারির ইলেকট্রোড ও ইলেকট্রোলাইটের সংযোগ দুর্বল হতে পারে। এ ছাড়া, দীর্ঘ সময় পর সিমেন্ট থেকে পানি হারালে এর ইলেকট্রোকেমিক্যাল স্থিতিশীলতা হ্রাস পায়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষকরা মডুলার ডিজাইনের একটি সমাধান প্রস্তাব করেছেন, যাতে ব্যাটারির অংশগুলো আলাদা চেম্বারে রাখা যায় এবং সহজে প্রতিস্থাপন বা মেরামত করা সম্ভব হয়।

এই নতুন প্রযুক্তি যদি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তবে ভবিষ্যতের ভবনগুলো শুধু বসবাসের জন্য নয়, বরং নবায়নযোগ্য শক্তির কার্যকর ভাণ্ডার হিসেবেও কাজ করতে পারবে।