যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
১৪ ফেব্রুয়ারি “সুন্দরবন দিবস” উপলক্ষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি (সাজেছাক)এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সুন্দরবনের গুরুত্ব, উপকারিতা ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁরা।

এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন,”সুন্দরবন শুধু একটি বন নয়, এটি আমাদের জীবনের সুরক্ষা কবচ। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করা হচ্ছে, যাতে মানুষ এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বরগুনার মানুষের জীবন-জীবিকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আমরা নিজেরাই অসচেতনভাবে এই সম্পদ ধ্বংস করছি। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা জরুরি। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই জাতীয় সম্পদকে টিকিয়ে রাখি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।”

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ মামুন হোসেন বলেন, “সুন্দরবন শুধু প্রকৃতির অংশ নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে, জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। কিন্তু যদি আমরা আজ সচেতন না হই, তাহলে ভবিষ্যতে এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আমরা আহ্বান জানাই—সুন্দরবন রক্ষা করি, প্রকৃতিকে ভালোবাসি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই মূল্যবান সম্পদ টিকিয়ে রাখি।সুন্দরবন আমাদের গর্ব, আমাদের ভবিষ্যৎ ।

এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুন্দরবন সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন, তারা নিজেরা সচেতন থাকবেন এবং অন্যদেরও সুন্দরবন রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করবেন। “