৪র্থ শিল্প বিল্পবের এ যুগে কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞান একজন শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য নয়; প্রয়োজন প্রায়োগিক জ্ঞানের বিকাশ। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি কর্পোরেট পরিবেশের সাথে পরিচিতি ঘটানো, বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন, Outcome Based Education অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণে এই বিভাগের শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ক্লাব পরিচালিত হচ্ছে। যেমন: বিজনেস ক্লাব, বিজনেস কালচারাল ক্লাব, বিজনেস ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং ক্লাব, বিজনেস স্পোর্টস ক্লাব, বিজনেস সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব। পাশাপাশি কয়েকটি সোসাইটি বিদ্যমান রয়েছে, যেমন: বিজনেস ডিবেটিং সোসাইটি, বিজনেস ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি, বিজনেস রিসার্চ সোসাইটি। এসব ক্লাব এবং সোসাইটিগুলো শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলগুলোর দক্ষতার উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে: জব ফেয়ার, উদ্যোক্তা মেলা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর, বিজনেস ডে, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম। যা কিনা একজন শিক্ষার্থীকে আরও দক্ষ এবং আরও উপযোগী হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সংক্ষিপ্তভাবে ক্লাব এক্সিকিউটিভদের তালিকা দেওয়া হলোঃ

১.নাঈম নেওয়াজ (সভাপতি) বিজনেস ক্লাব।
২.সিফাত হাসান ( সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস ক্লাব।
৩.আহাদ খন্দকার (সভাপতি) বিজনেস স্পোর্টস ক্লাব।
৪ আরিয়ান হোসেন আরিফ (সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস স্পোর্টস ক্লাব ।
৫ জাহিদ আহমেদ (সভাপতি) বিজনেস কালচারাল ক্লাব।
৬ নাবিল মাহমুদ (সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস কালচারাল ক্লাব।
৭ মোহাম্মদ নাঈম (সভাপতি) বিজনেস ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ক্লাব।
৮.শান্ত চন্দ্র দাস সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ক্লাব।
৯.মিঠুন আলী (সভাপতি) বিজনেস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব।
১০.হুমায়ূন শিকদার (সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব।

সোসাইটি:
১১.মাহাবুবা(সভাপতি) বিজনেস ডিবেটিং সোসাইটি।
১২. আমেনা আক্তার প্রীতি (সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস ডিবেটিং সোসাইটি।
১৩.নরীন সুলতানা (সভাপতি) বিজনেস ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি।
১৪. হোজাইফা আহমেদ জিদান (সাধারণ সম্পাদক) বিজনেস ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি।

উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কোর্ডিনেটর মো: রাসেল হাওলাদার স্যার বলেন-“আমি বিশ্বাস করি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের এই ক্লাব ও সোসাইটিগুলো শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ একজন শিক্ষার্থীকে চাকুরিক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে রাখবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীর সৃষ্টিশীলতা, দক্ষতা উন্নয়নে এবং মানবিক মানুষ হতে সহায়তা করবে। সকল ক্লাব ও সোসাইটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি,শুভ কামনা রইলো।”

এছাড়াও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের,বিভাগীয় প্রধান-ড. মো: মাসুদ রানা স্যার বলেনঃ-“সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা এবং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে আগ্রহকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভাগের বিভিন্ন ক্লাব ও সোসাইটির গঠন নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ক্লাব ও সোসাইটিগুলো শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধভাবে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলবে এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক চিন্তাধারা, উদ্ভাবনী মনোভাব এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করার এক উজ্জ্বল সুযোগ তৈরি করবে। আশা করি, এসব ক্লাব ও সোসাইটি শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।

আমি বিশ্বাস করি, সবার মিলিত প্রচেষ্টায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা এবং মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হবে। আপনাদের এ উদ্যোগ সফল ও সার্থক হোক—এই শুভকামনা রইল।”

মীর পারভেজ
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি