০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাবিপ্রবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাংচুর: তদন্তে ছাত্রদলের গড়িমসি

ক্যাম্পাস ডেস্ক
  • প্রকাশিত: ১২:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 14

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ছাত্রদলের কর্মী শামীম আশরাফির নেতৃত্বে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসা ভাংচুরের ঘটনায় ৫৫ দিন পার হয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয় নি তদন্ত কমিটির।

গত ৩০ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় ওই ছেলে সাথে আরও কয়েকজনকে নিয়ে সাংবাদিক সমিতির অফিসরুমে আসে এবং ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা কর্মচারীর থেকে অফিসরুমের চাবি দাবি করেন। চাবি না দেওয়ায় শামীম আশরাফী ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এবং লাথি মেরে অফিসরুমের কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলেন। তবে ওই সময় ওই কক্ষে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কোন সদস্য ছিলোনা। তাদেরকে না পেয়ে সে ভাঙচুর করে চলে যায়। 

ঘটনার পর ৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ সহ সভাপতি জাকির উদ্দিন আবিরকে প্রধান করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও সাইদুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা। তদন্ত কমিটি গঠনের নোটিশে ৬ জুলায়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জাকির উদ্দিন আবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। 

এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলামের কাছে আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন “, state & politics hv’ gone unrest. “

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রাব্বি হাসান অভিযুক্তকে বাঁচাতে ডিপার্টমেন্টাল ইস্যু তৈরির জন্য মানববন্ধন করানোর নির্দেশের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য রাব্বি হাসান হোয়াটঅ্যাপে কাউকে লেখেন, ‘একটা মানববন্ধন করাও ছেলেটার ব্যাচমেটগুলো দিয়ে। করতে পারলে খুব ভালো হবে৷’

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, এটা জানায় ছিল ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না শুধু তদন্তের নামে নাটক করবে। এভাবেই একটি দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যদি এইভাবে এইরকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকারীকে সাপোর্ট দিয়ে যায় ভবিষ্যতে সংগঠনটি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে বলে ভয় হচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হোসাইন বলেন, এতদিনেও সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাংচুর তদন্তের প্রতিবেদন ও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি ছাত্রদল যা খুবই হতাশার। নতুন বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তন হচ্ছে না। এর মাধ্যেমে আবারো ভিন্নমতের দমন পীড়ন আর সহিংসতার রাজনীতিকে আস্কারা দিচ্ছে ছাত্রদল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম

শেয়ার করুন

হাবিপ্রবিতে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাংচুর: তদন্তে ছাত্রদলের গড়িমসি

প্রকাশিত: ১২:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ছাত্রদলের কর্মী শামীম আশরাফির নেতৃত্বে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসা ভাংচুরের ঘটনায় ৫৫ দিন পার হয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয় নি তদন্ত কমিটির।

গত ৩০ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় ওই ছেলে সাথে আরও কয়েকজনকে নিয়ে সাংবাদিক সমিতির অফিসরুমে আসে এবং ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা কর্মচারীর থেকে অফিসরুমের চাবি দাবি করেন। চাবি না দেওয়ায় শামীম আশরাফী ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এবং লাথি মেরে অফিসরুমের কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলেন। তবে ওই সময় ওই কক্ষে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কোন সদস্য ছিলোনা। তাদেরকে না পেয়ে সে ভাঙচুর করে চলে যায়। 

ঘটনার পর ৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ সহ সভাপতি জাকির উদ্দিন আবিরকে প্রধান করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও সাইদুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা। তদন্ত কমিটি গঠনের নোটিশে ৬ জুলায়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

তদন্ত কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জাকির উদ্দিন আবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। 

এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলামের কাছে আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন “, state & politics hv’ gone unrest. “

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রাব্বি হাসান অভিযুক্তকে বাঁচাতে ডিপার্টমেন্টাল ইস্যু তৈরির জন্য মানববন্ধন করানোর নির্দেশের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য রাব্বি হাসান হোয়াটঅ্যাপে কাউকে লেখেন, ‘একটা মানববন্ধন করাও ছেলেটার ব্যাচমেটগুলো দিয়ে। করতে পারলে খুব ভালো হবে৷’

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, এটা জানায় ছিল ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না শুধু তদন্তের নামে নাটক করবে। এভাবেই একটি দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যদি এইভাবে এইরকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকারীকে সাপোর্ট দিয়ে যায় ভবিষ্যতে সংগঠনটি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হবে বলে ভয় হচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হোসাইন বলেন, এতদিনেও সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাংচুর তদন্তের প্রতিবেদন ও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি ছাত্রদল যা খুবই হতাশার। নতুন বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তন হচ্ছে না। এর মাধ্যেমে আবারো ভিন্নমতের দমন পীড়ন আর সহিংসতার রাজনীতিকে আস্কারা দিচ্ছে ছাত্রদল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

পাবলিকিয়ান টুডে/ এম