০৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাবিপ্রবি’র প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৬:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 21

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :-
ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্যও পদত্যাগ করেন৷ উপাচার্যের পদত্যাগের পর নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ।

আজ ৩রা সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিগত ২৯ আগস্ট,২০২৪ তারিখের স্মারক নম্বর-৩৭.০০.০০০০.০৭৯.৯৯.০০৭.১৭-২৫৫ (সরকারী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ০৩/০৯/২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীনবৃন্দের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ সাময়িকভাবে জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করিবেন।

অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ ১৯৬৭ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও এমএসসি (মাস্টার্স অব সায়েন্স) ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে কোরিয়ার অ্যানডং ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপসহ (ব্রেইন কোরিয়া) এ্যাপ্লাইড এন্টমোলজি এর উপর পি.এইচডি ডিগ্রী এবং গ্রীস এর এ্যারিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয় অব থিসালোনিকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রীক সরকার কর্তৃক স্কলারশিপসহ এপিকালচার এর উপর পোস্ট ডক করেন।

১৯৯৩ সালে তিনি দিনাজপুরে অবস্থিত গম গবেষণা কেন্দ্রে সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং একই বছর পটুয়াখালী কৃষি কলেজের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে উক্ত বিভাগে ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক, ২০১১ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-৩), ২০১৬ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-২) এবং ২০২০ সাল হতে অধ্যাপক (গ্রেড-১) হিসেবে হাবিপ্রবির কীটতত্ত্ব বিভাগে কর্মরত আছেন।

তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিজ ও শিক্ষক পদোন্নতি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউনিভার্সিটি অব জর্দান। পাশাপাশি তিনি ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন অব এক্যারোলজিস্ট, বাংলাদেশ এন্টমোলজিক্যাল সোসাইটি এবং বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ গ্রুপ অব বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য। এছাড়াও তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে ১৯ জন শিক্ষার্থী এমএস ও ৩ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। আন্তজার্তিক জার্নালে তার প্রকাশনার সংখ্যা ৪৩ টি এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ৯ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান পদত্যাগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিলো । এসময় শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট, মার্কশীট তুলতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিলো।

মো. রাফিউল হুদা/হাবিপ্রবি
মোবা.০১৬১৯৪৪৯২৪৮

শেয়ার করুন

হাবিপ্রবি’র প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :-
ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্যও পদত্যাগ করেন৷ উপাচার্যের পদত্যাগের পর নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ।

আজ ৩রা সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিগত ২৯ আগস্ট,২০২৪ তারিখের স্মারক নম্বর-৩৭.০০.০০০০.০৭৯.৯৯.০০৭.১৭-২৫৫ (সরকারী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ০৩/০৯/২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীনবৃন্দের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ সাময়িকভাবে জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করিবেন।

অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ ১৯৬৭ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও এমএসসি (মাস্টার্স অব সায়েন্স) ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে কোরিয়ার অ্যানডং ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপসহ (ব্রেইন কোরিয়া) এ্যাপ্লাইড এন্টমোলজি এর উপর পি.এইচডি ডিগ্রী এবং গ্রীস এর এ্যারিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয় অব থিসালোনিকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রীক সরকার কর্তৃক স্কলারশিপসহ এপিকালচার এর উপর পোস্ট ডক করেন।

১৯৯৩ সালে তিনি দিনাজপুরে অবস্থিত গম গবেষণা কেন্দ্রে সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং একই বছর পটুয়াখালী কৃষি কলেজের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে উক্ত বিভাগে ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক, ২০১১ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-৩), ২০১৬ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-২) এবং ২০২০ সাল হতে অধ্যাপক (গ্রেড-১) হিসেবে হাবিপ্রবির কীটতত্ত্ব বিভাগে কর্মরত আছেন।

তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিজ ও শিক্ষক পদোন্নতি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউনিভার্সিটি অব জর্দান। পাশাপাশি তিনি ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন অব এক্যারোলজিস্ট, বাংলাদেশ এন্টমোলজিক্যাল সোসাইটি এবং বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ গ্রুপ অব বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য। এছাড়াও তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তার অধীনে ১৯ জন শিক্ষার্থী এমএস ও ৩ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। আন্তজার্তিক জার্নালে তার প্রকাশনার সংখ্যা ৪৩ টি এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ৯ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান পদত্যাগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিলো । এসময় শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট, মার্কশীট তুলতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিলো।

মো. রাফিউল হুদা/হাবিপ্রবি
মোবা.০১৬১৯৪৪৯২৪৮