০৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাবিপ্রবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: ০৩:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 39

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্বাসুজজামান’র পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ শে আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় হাবিপ্রবি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত ৭ বছর যাবত স্যার আমাদেরকে সকল কিছু থেকে বঞ্চিত করেছেন ৷ আমাদের না হয়েছে ঠিক মতো ক্লাস, না হয়েছে আমাদের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা। শুধু তাই নয় অন্যান্য স্কুলগুলো প্রতি বছরই তাদের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা সফরে নিয়ে গেলেও বিগত ৭ বছরে আমাদেরকে কোনো শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এমনকি কেউ যদি স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ট্রান্সফার সার্টিফিকেট তুলতে চায় তাহলে স্যার আমাদের কাছে টাকা দাবি করে বসেন৷ স্যার স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া সময় না মেনে তার ইচ্ছা মতো সময়ে আসেন।

এছাড়াও আমাদের শিক্ষক সংকট থাকলেও স্যার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তিনি গণিত বিষয়ের শিক্ষককে ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিতে পাঠান। তিনি ইংরেজি শিক্ষককে পাঠান বাংলা ক্লাশ নেয়ার জন্য, শুধু তাই নয় কেমিস্ট্রির শিক্ষক ক্লাসে এসে এক দিনে একটি অধ্যায় শেষ করে দিয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের স্কুলের কিছু সংখ্যক শিক্ষককে বিগত চার বছর থেকে এক টাকাও বেতন দেয়া হয় না। তাই আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে উনি সরে দাঁড়াবেন।

বিগত ৪ বছর থেকে বেতন না পাওয়ার বিষয়ে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা বলেন, গত ৪৩ মাস তারা বেতন পায় না। প্রায় সাত বছর যাবৎ কোনো ভাতাও পায় না। শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় না। নির্বাচিত হওয়ার পরও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বাঁধা। এমপিও ভুক্তকরণে খামখেয়ালি করা। বেতন উচ্চতর স্কেল করণে ৮ বছর দেরি করা। অন্যদের দায়িত্ব না দিয়ে সকল কাজ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী করা। কোনো
অর্থ কমিটি গঠন না করা। কোনো রশীদ না দিয়ে টাকা খরচ করা। নাস্তা না দিয়ে তার বিল করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া। নিজের জন্য আলাদা বিল করা। অর্থ বরাদ্দ থাকার পরেও প্রোভিডেন্ট ফান্ড গঠন না করে ওই টাকা আত্মসাত করা। অডিট টিমকে নিজের কবজায় নেওয়া। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা। নিয়মানুযায়ী কমিটি গঠন না করা। অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না করা সহ নানাবিধ অভিযোগ উঠে আসে তার নামে।

এছাড়াও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের নৈমত্তিক ছুটি একই সাথে সর্বোচ্চ ৩ দিন হলেও উনি বিগত ২৭.০৮.২৪ থেকে ০২.০৮.২৪ ইং পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি বরাবর ছুটির আবেদন করে সহকারি শিক্ষক মো. আজিজুল ইসলামের উপর সাধারণ দায়িত্ব ন্যাস্ত করে ছুটিতে চলে যান।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে তারা ১ সপ্তাহ সময় চায় এবং এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো সমাধান না পেলে তারা আরও বড় পরিসরে আন্দোলন করার হুমকি দেন।

মো. রাফিউল হুদা /হাবিপ্রবি

শেয়ার করুন

হাবিপ্রবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্বাসুজজামান’র পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ শে আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় হাবিপ্রবি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত ৭ বছর যাবত স্যার আমাদেরকে সকল কিছু থেকে বঞ্চিত করেছেন ৷ আমাদের না হয়েছে ঠিক মতো ক্লাস, না হয়েছে আমাদের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা। শুধু তাই নয় অন্যান্য স্কুলগুলো প্রতি বছরই তাদের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা সফরে নিয়ে গেলেও বিগত ৭ বছরে আমাদেরকে কোনো শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এমনকি কেউ যদি স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ট্রান্সফার সার্টিফিকেট তুলতে চায় তাহলে স্যার আমাদের কাছে টাকা দাবি করে বসেন৷ স্যার স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া সময় না মেনে তার ইচ্ছা মতো সময়ে আসেন।

এছাড়াও আমাদের শিক্ষক সংকট থাকলেও স্যার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তিনি গণিত বিষয়ের শিক্ষককে ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিতে পাঠান। তিনি ইংরেজি শিক্ষককে পাঠান বাংলা ক্লাশ নেয়ার জন্য, শুধু তাই নয় কেমিস্ট্রির শিক্ষক ক্লাসে এসে এক দিনে একটি অধ্যায় শেষ করে দিয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের স্কুলের কিছু সংখ্যক শিক্ষককে বিগত চার বছর থেকে এক টাকাও বেতন দেয়া হয় না। তাই আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে উনি সরে দাঁড়াবেন।

বিগত ৪ বছর থেকে বেতন না পাওয়ার বিষয়ে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা বলেন, গত ৪৩ মাস তারা বেতন পায় না। প্রায় সাত বছর যাবৎ কোনো ভাতাও পায় না। শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় না। নির্বাচিত হওয়ার পরও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বাঁধা। এমপিও ভুক্তকরণে খামখেয়ালি করা। বেতন উচ্চতর স্কেল করণে ৮ বছর দেরি করা। অন্যদের দায়িত্ব না দিয়ে সকল কাজ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী করা। কোনো
অর্থ কমিটি গঠন না করা। কোনো রশীদ না দিয়ে টাকা খরচ করা। নাস্তা না দিয়ে তার বিল করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া। নিজের জন্য আলাদা বিল করা। অর্থ বরাদ্দ থাকার পরেও প্রোভিডেন্ট ফান্ড গঠন না করে ওই টাকা আত্মসাত করা। অডিট টিমকে নিজের কবজায় নেওয়া। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা। নিয়মানুযায়ী কমিটি গঠন না করা। অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি না করা সহ নানাবিধ অভিযোগ উঠে আসে তার নামে।

এছাড়াও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের নৈমত্তিক ছুটি একই সাথে সর্বোচ্চ ৩ দিন হলেও উনি বিগত ২৭.০৮.২৪ থেকে ০২.০৮.২৪ ইং পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি বরাবর ছুটির আবেদন করে সহকারি শিক্ষক মো. আজিজুল ইসলামের উপর সাধারণ দায়িত্ব ন্যাস্ত করে ছুটিতে চলে যান।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে তারা ১ সপ্তাহ সময় চায় এবং এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো সমাধান না পেলে তারা আরও বড় পরিসরে আন্দোলন করার হুমকি দেন।

মো. রাফিউল হুদা /হাবিপ্রবি