যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত আওয়ামীপন্থী দুই অধ্যাপক ও দুই কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে ছয় সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৪ তম সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন কে আহ্বায়ক ও উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ ইমদাদুল হক কে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সায়েন্স রিসার্চ সেন্টারের কাউন্সিলর মেম্বার ও যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মোঃ আলতাফ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মোঃ ওমর ফারুক ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ইঞ্জি. ড. আমজাদ হোসেন।
১০৪তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বরখাস্ত এক শিক্ষক হলেন নীল দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবির জাহিদ। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। অপর শিক্ষক নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোঃ গালিব। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ লোপাট, লিফট ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হওয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে নিজের স্ত্রী ডা. নুসরত জাহানকে ৩৫ বছর ১১ মাস বয়সে বিধি বর্হিভূতভাবে নিয়োগ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ২০২২ সালে টেকনিক্যাল অফিসার হেলালুল ইসলামের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি যবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পদক, যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপরদিকে সাইফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ছিলেন। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ নভেম্বর ২০২৪ এ আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ।